সিলেটে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় আসামি ৮০০
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ এপ্রিল ২০২৫, ৯:৫১ অপরাহ্ণ
ফিলিস্তিনে বর্বর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের সময় সিলেট নগরীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনার প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। এদিকে সিলেট নগরীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুর লুটপাটের ঘটনায় বুধবার আরেকটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে ৮০০ জনকে। পুলিশ দুটি মামলার বিপরীতে এতদিন পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে ২১ হুজুগি দুর্বৃত্তকে। সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি সন্ধ্যায় বলেন, বর্বরতার প্রতিবাদে বর্বরতা করা যাবেনা। দুর্বৃত্তায়নে জড়িত ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকিদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এদিকে বুধবার ব্যবসায়ীসহ সিলেটের বিভিন্ন মহল প্রতিবাদ কর্মসূচিতে এমন দাবি উঠে। এদিন সকাল থেকে নগরীর কোর্ট পয়েন্টে দোকানপাট বন্ধ করে মানববন্ধন করেন ব্যবসায়ীরা। এ সময় ব্যবসায়ীরা বলেন, ইসরাইলবিরোধী আন্দোলনের নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যারা হামলা করেছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা দরকার। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরও আটক করতে হবে।
তারা বলেন, ব্যবসায়ীরা সবাই ফিলিস্তিনের ওপর এ হামলার বিরুদ্ধে আছে। সিলেটের মার্কেটে ইসরাইলি পণ্য যাতে এখানে না আসতে পারে সেজন্য সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নিতে হবে। এ সময় তারা ইসরাইলি সব পণ্য বর্জনের আহবান জানান।
হাসান মার্কেট দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মো. রইছ আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মো. আজিজুল করিমের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিসিকের সাবেক প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরা সদস্য, সিলেট মহানগর জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক ও হবিগঞ্জ-১ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রাথী মো. শাহজাহান আলী প্রমুখ।
এদিকে হামলা লুটপাটের ঘটনায় বুধবার ডোমিনেস পিজার পক্ষে মো. আল আমিন মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় ৮০০ জনকে। ক্ষয়ক্ষতি দাবি করা হয়েছে প্রায় ৭৭ লাখ টাকা। এর আগে মঙ্গলবার রয়্যাল মার্ক হোটেলের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) আবদুল মতিন সরকার হামলা ভাঙচুর লুটপাটের ঘটনায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার বাদী আবদুল মতিন সরকারের দাবি, হামলাকারীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হামলা করেছে। হামলার সময় হামলাকারীরা মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। পাশাপাশি হামলা ও ভাঙচুরের সময় তারা গুলতি, হাতুড়ি ও শাবল ব্যবহার করেছেন। গুলতি দিয়ে সড়ক থেকে তাদের ষষ্ঠতলা পর্যন্ত কাচ ভাঙচুর করা হয়।
উল্লেখ্য, গাজায় ইসরাইলি হামলা ও বর্বর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গত সোমবার বিক্ষোভসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে উত্তাল ছিল সিলেট। বিক্ষোভের সময় কেএফসি, বাটা, ইউনিমার্ট, রয়েলমার্ক, আলপাইন রেস্তোরাঁসহ প্রায় ১০টি প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়।