পলাতক থেকেও আওয়ামী লীগ নেতার নিয়োগ বাণিজ্য
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ মার্চ ২০২৫, ১:১৭ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৌলতপুর কলেজের অধ্যক্ষ ছদিকুজ্জামান খান সুমন পলাতক থেকেও নিয়োগ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। এরপরও অনার্স শাখায় নিয়োগ নেয়া শিক্ষকদের অবৈধ পন্থায় বেতন ছাড় করানো কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন আগের মতোই।
জানা গেছে, অনার্স শাখায় নিয়োগ পাওয়া ৮ জন শিক্ষকের থেকে ২ কোটি টাকার অর্থ বাণিজ্য করে অবৈধ পন্থায় তাদের বেতন ছাড় করানোর চেষ্টা করছেন সুমন। ইতিমধ্যে বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় শিক্ষক হিসেবে হালিমা খাতুনকে অবৈধ নিয়োগ দেখিয়ে তার বেতন ছাড় করানো কার্যক্রম সম্পন্নও করেছেন। একইভাবে ইংরেজি বিভাগের অনার্স শাখার শিক্ষক কামরুন নাহারেরও বেতন ছাড় করানোর কার্যক্রম চলমান রেখেছেন। কলেজ সূত্রে জানা গেছে, সুমন অনার্স শাখায় বিভিন্ন বিষয়ে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের থেকে জনপ্রতি ২০-২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে অবৈধভাবে বেতন ছাড় করিয়েছেন। এ বিষয়ে ভূগোল বিভাগের প্রদর্শক মো. জহুরুল আলম বলেন, বিগত সরকারের সময় অধ্যক্ষ সুমন অনার্স শাখায় বিভিন্ন বিষয়ে নিয়োগ পাওয়া ১১ জন শিক্ষকের কাছ মোটা অঙ্কের অর্র্থ বাণিজ্য করে তাদের প্যাটার্ন বহির্ভূত ও অবৈধভাবে বেতন ছাড় করিয়েছেন। একইভাবে বর্তমান সরকারের সময়েও আরও ৮ জন অনার্স শাখার শিক্ষকদের অবৈধভাবে বেতন ছাড় করাতে ব্যস্ত রয়েছেন। এরমধ্যে বাংলা ও ইংরেজি বিভাগে অনার্স শাখায় নিয়োগ পাওয়া ২ জন শিক্ষকের ইনডেক্স নম্বরও পড়েছে শুনেছি। এসব অবৈধ কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জড়িত রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ সুমনকে ফোন দিলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
তবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আব্দুস সালাম বলেন, আমি তেমন কিছু জানি না। এমপিও’র কপি আমার হাতে আসলে আপনাকে জানাতে পারবো। কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্য আরিফুল ইসলাম নান্নু বলেন, অনার্স শাখায় নিয়োগ নেয়া শিক্ষকদের মধ্যে বাংলা ও ইংরেজি বিভাগের দু’জন শিক্ষকের বেতন করানোর চেষ্টা করছেন পলাতক অধ্যক্ষ সুমন। অবৈধ পন্থায় করানো বেতন বন্ধের বিষয়টি কলেজের গভর্নিং কমিটির মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এবং তদন্ত করে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সুমন প্রশাসন ও জনতার রোষানলে পড়েন। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি গা ঢাকা দেন।