প্রবাসে থেকেও মামলার আসামী খায়রুল, তার বাড়ীতে হামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩:৪৯ পূর্বাহ্ণ
তিনি যুক্তরাজ্যে গিয়েছেন ২০২২ সালের জানুয়ারীতে। সেখানেই অবস্থান করছেন এখন পর্যন্ত। দেশে থাকতে রাজনীতি করেছেন য়াওয়ামী লীগের। তেমন সক্রিয় ছিলেন না। কিন্তু তবু মামলাবাজদের হাত থেকে তার নিস্তার নেই। তাকে ও তার পরিবারকে অপদস্থ করতে মামলা এমনকি তার বাড়ীতে হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। তাকে গত ৪ আগস্ট ২০২৪- মৌলভীবাজারের চাদনীঘাট ব্রিজে পুলিশ-বিজিবির সাথে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত একটি মামলার আসামী করা হয়েছে।
তিনি সুমারাই গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহিদের ছেলে প্রবাসী যুবলীগ নেতা শেখ খায়রুল ইসলাম (৩১)। গত ৫ সেপ্টেম্বর (২০২৪) মৌলভীবাজার সদর থানায় (০৪/২৪৮) নাম্বার মামলা দায়ের করেন বর্ষীজোড়া মৌলভীবাজারের মৃত ফজলু মিয়ার ছেলে ইমন মিয়া।
মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন গত বছরের ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক অবায়দুল কাদেরের নির্দেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের মিছিলে পরিকল্পিত হামলা চালায় আওয়ামী সন্ত্রাসী এবং পুলিশ- বিজিবি।
এসময় অন্যান্য আসামীদের সাথে শেখ খায়রুলও নাকি তাকে গুলি ও বেধরক পেটায় এতে তিনি মারাত্মক আহত হয়ে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখান থেকে তার অবস্থা খারাপ হলে পরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
এ ঘটনায় তিনি মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগ সভাপতি সৈয়দ রেজাউল করিম সুমনসহ মোট ৫১ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেন।
এ অভিযোগে ১৪নং আসামী করা হয়েছে শেখ খায়রুল ইসলামকে।
এদিকে খায়রুল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে আলাপকালে জানান, তিনি থাকাকালীন ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন। এরপর রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসায় আত্মনিয়োগ করেন।
পরে ২০২২ সালের জানুয়ারীতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনে তিনি যুক্তরাজ্য গমন করেন। ৫ আগস্টের কোন ঘটনার সাথে তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কোন সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও একটি মামলাবাজ চক্র অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থে সম্পূর্ন পরিকল্পিতভাবে তাকে এ মামলার আসামী করেছে। তিনি এ ব্যাপারে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করতে সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুমারাই এলাকার সচেতন মহল জানান, খায়রুল খুবই ভালো ছেলে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও কোন সময় কারো সাথে তার দ্বন্ধ ছিলোনা। ঘটনার ২ বছর পুর্বে সে বিদেশে পারি দিলেও সেই খায়রুলের বিরুদ্ধে ৪ আগস্টের ঘটনায় মামলা দায়ের ও তার বাড়ী ঘরে হামলা অত্যন্ত লজ্জার, দুঃখের। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।