সুনামগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক আহত, ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮:৫০ অপরাহ্ণ
আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধের জেরে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় সিজিল মেম্বার এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিজিল মিয়ার লোকজনের সংঘর্ষে নারীসহ শতাধিক আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বদলপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে গুরুতর আহত ৩৯ জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে দিরাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
দিরাই থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিজিল মেম্বার এবং প্রবাসী সিজিল মিয়ার মধ্যে গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব বিরোধ ছিল। দুই পক্ষে বিভক্ত গ্রামের লোকজন প্রায়ই সংঘর্ষ জড়ায়। উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলা-মোকদ্দমা রয়েছে। গ্রাম্য বিরোধের জেরে বদলপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্যরাও বিভক্ত হয়ে পড়েন। ওই সমিতির নামে ইজারাকৃত পুরাতন সুরমা নামে জলমহাল সংখ্যা গরিষ্ঠ প্রবাসী সিজিল মিয়ার পক্ষের লোকেরা অপর পক্ষের সদস্যদের বাদ দিয়ে ভোগদখল করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর জেরে সোমবার সকালে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে দুই পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা হলেন, বদলপুর গ্রামের আলেকা বেগম, জিয়াউল করিম, সাঈম, রাজা মিয়া, সাবাজ মিয়া, কুলসুম বিবি, শাহাবুদ্দিন, সিজিল মেম্বার (৫৫), নজরুল ইসলাম (২২), রাসেল (৩৮), শাহজাহান (৪০), মফিজ আলী, মাসুমা বেগম (৬০), শফিক মিয়া (৫০), রেজাউল, ছান উল্লা, নাহিদ, আব্দুর রহমান, আলী আমজাদ, মুছা মিয়া, আজাদ মিয়া, তোফায়েল, সেলিম, মনির, সাইফুজ্জামান, স্বপন মিয়া, শফিক, আসাদ মিয়া, ছায়াদ মিয়া, শাহ আলম, পাখি মিয়া, শফিক মিয়া, কালাম মিয়া, মাঈন উদ্দিন, তাহির মিয়া, মুহিদুল মিয়া, সুজন, রিমন, শিহাব মিয়া।
দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. রায়হান উদ্দিন বলেন, আহতদের নিয়ে দুই পক্ষের প্রায় দুইশ’ লোক চিকিৎসার জন্য এক সঙ্গে জরুরি বিভাগে এলে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ৩৯ জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। রেফার করা বেশির ভাগেরই ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। এছাড়া বেশ কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।