দেওয়ানবাগীর আস্তানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫১ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে দেওয়ানবাগী পীরের দরবারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোক জড়ো করে শুক্রবার ভোরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে দেওয়ানবাগী পীরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও জলসা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তার অনুসারীরা। এ সময় দেওয়ানবাগ জামে মসজিদের মুসল্লিরা বাধা দিলে পীরের অনুসারী মুসল্লিরা ধাওয়া দেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আশপাশের মসজিদে ঘোষণা দিয়ে দেওয়ানবাগী পীরের দরবারে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এ সময় স্থানীয় লোকজন দরবারের ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। পরে দুটি টিনের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
প্রধান ফটকের পাশে দেওয়ানবাগ জামে মসজিদ ও জামিয়াতুল সুহাদা দেওয়ানবাগ মাদ্রাসা। এ মসজিদ থেকেই বৃহস্পতিবার রাতে মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকার লোকজনকে শুক্রবার ভোরে অবস্থান নেওয়ার জন্য বলা হয়।
মসজিদের ইমাম মাসুম বিল্লাহ বলেন, এখানে বিতর্কিত ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড হতো। এ কারণে স্থানীয় তৌহিদি জনতা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুব্ধ ছিল। সকালে স্থানীয় লোকজন প্রধান ফটকের সামনে অবস্থা নিলে তারা (দেওয়ানবাগীর অনুসারীরা) ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। পরে পুলিশ ও ছাত্রসমাজের লোকজন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে চেষ্টা করেও দেওয়ানবাগী পীরের দরবারের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দেওয়ানবাগী পীরের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের বিরোধ চলছিল। সে বিরোধের জেরে ফজরের নামাজের পর মসজিদের মাইকে ঘোষণা করে স্থানীয় লোকজন দেওয়ানবাগী পীরের দরবারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।