সিলেট ও চট্টগ্রামে বন্যার্তদের জন্য পিকেএসএফের আড়াই হাজার কোটি টাকার সহায়তা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ আগস্ট ২০২৪, ৯:২২ অপরাহ্ণ
সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে চলমান ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরুরিভিত্তিতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২ হাজার ৪২২ কোটি ৭০ লাখ টাকার সহায়তা দেবে পল্লী-কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো।
বুধবার (২৮ আগস্ট) পিকেএসএফ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। পিকেএসএফ পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ প্রস্তাবগুলো অনুমোদিত হয়।
গত ২৫ আগস্ট পিকেএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আলোকে, ২৭ আগস্ট বন্যাক্রান্ত এলাকায় কাজ করা ৫০টি সহযোগী সংস্থার প্রধান নির্বাহীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে চলমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের। সভায় জানানো হয়, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের ১৩টি জেলায় চলমান বন্যায় পিকেএসএফের ৫২টি সহযোগী সংস্থার ১ হাজার ৮৬৯টি শাখার আওতাভুতক্ত ১৪.৪১ লক্ষাধিক সদস্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
পিকেএসএফ জানায়, এ সহায়তা প্যাকেজের আওতায় বন্যার্তদের জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় ৩ কোটি টাকা অনুদান সহায়তা, সরকারি ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা জন্য প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে ২ কোটি টাকা অনুদান, এবং বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রমের জন্য সহজ শর্তে ৪১৬ কোটি ৭ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করা হবে। বন্যা উপদ্রুত এলাকায় কর্মরত পিকেএসএফের সহযোগী সংস্থাসমূহ তাদের নিয়মিত ঋণ কর্মসূচির আওতায় প্রাথমিক প্রাক্কলন অনুযায়ী ২ হাজার কোটি টাকা বিতরণ করবে।
সংস্থাটি জানায়, প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে প্রদেয় অনুদানে পিকেএসএফের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বন্যা পরবর্তী আমন ধান ও সবজি চাষের জন্য বীজ ও গো-খাদ্য উৎপাদনসহ বিভিন্ন আয়বর্ধক কর্মকাণ্ড পুনরুদ্ধার এবং ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো (ঘরবাড়ি, দোকানপাট, খামার, ল্যাট্রিন, টিউবওয়েল ইত্যাদি) মেরামতে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রদত্ত অনুদান প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র ক্রয়, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ আনুষঙ্গিক কাজে ব্যবহৃত হবে। বন্যা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জরুরি স্বাস্থ্য সেবা, বন্যা পরবর্তী আমন ধান ও সবজি চাষের জন্য বীজ, গবাদি প্রাণীর চিকিৎসা সেবা, গো-খাদ্য উৎপাদন এবং গবাদিপ্রাণীর স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে।