গুলিতে প্রাণ হারানো সুনামগঞ্জের মাদ্রাসা ছাত্র আয়াতুল্লাহর মায়ের কান্না থামছে না
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ আগস্ট ২০২৪, ৪:১৮ অপরাহ্ণ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার গণঅভুত্থানে শহীদ আবু সাইদ কিংবা মীর মুগ্ধের মতো অনেকের নাম দেশবাসী জানলেও নাম না জানা আরও অনেকেই রয়েছেন। যারা প্রাণ হারিয়েছেন। তেমনি একজন মাদ্রাসা ছাত্র আয়াতুল্লাহ।
গত ৫ আগস্ট লংমার্চ ঢাকা কর্মসূচির মিছিলে যোগ দিয়ে গাজীপুরে কালিয়াকৈরে আনসার বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার এই তরুণ। ১১ দিন মর্গে থাকার পর বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় পরিচয় সনাক্ত হলে ১২ দিন পর গ্রামের বাড়িতে সমাধিস্থ হন এই শহীদ। সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় আয়াতুল্লাহর মা শুভা আক্তার। কান্না থামছে না অসহায় পরিবারের স্বজনদের। শহীদ আয়াতুল্লাহ’র মায়ের আহাজারিতে কেঁেপ উঠছে জলুষা গ্রামের মাটি। প্রতিবেশীরাও তার কান্না থামাতে গিয়ে ফিরছেন অশ্রুসিক্ত নয়নে। পরিবারের মেধাবী সন্তানকে হারিয়ে শোকে কাতর স্বজনরা। এমন বীর সন্তানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন প্রতিবেশীরা। করছেন কবর জিয়ারত।
আয়াতুল্লাহ সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের জলুষা গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি তার বড় ভাই সোহাগের সঙ্গে কালিয়াকৈরের জামতলা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। আয়াতুল্লাহ কালিয়াকৈরের ভান্নারা বাজার এলাকায় মাখলাজুল ইমান নামে একটি মাদরাসায় পড়াশোনা করার পাশাপাশি একটি টেক্সটাইল মিলে কাজ করতেন। পরিবারের ২ ভাই ২ বোনের মধ্যে আয়াতুল্লাহ সবার ছোট।