মাথায় গুলিবিদ্ধ দশম শ্রেণির ছাত্র রাইয়ানের জন্য সিলেটে প্রার্থনা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১১:১৫ অপরাহ্ণ
দশম শ্রেণিতে পড়ে সিলেটের রাইয়ান আহমদ। তরতাজা এক কিশোর। সবার সঙ্গে গিয়েছিল বিজয় মিছিলে। দক্ষিণ সুরমা থানার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। এমন সময় থানার ভেতর থেকে আসা একটি বুলেট মাথায় বিদ্ধ হয়। সঙ্গে সঙ্গে লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। মাথার ভেতর থেকে রক্ত ঝরছিলো। সঙ্গে থাকা লোকজন গোলাগুলির স্থল থেকে উদ্ধার করেন রাইয়ানকে। নিয়ে যান সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অবস্থা গুরুতর হওয়ার কারণে দ্রুত নেয়া হয় আইসিইউতে।
১২ দিনেও জ্ঞান ফিরেনি রাইয়ানের। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে সে। খবর পেয়ে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা নেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। গতকাল দুপুরে তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে রাজধানী ঢাকায় পৌঁছায়। এরপর সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আরিফুল হক চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে তাকে ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত রাইয়ান দক্ষিণ সুরমার সিলাম ডালিপাড়া গ্রামের নানু মিয়ার ছেলে। চার ভাই বোনের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ রাইয়ান সিলাম পিএল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র।
রাইয়ান আহমদের পিতা নানু মিয়া জানিয়েছেন, গত ৫ই আগস্ট দক্ষিণ সুরমা থানা ঘেরাওকালে পুলিশের ছোড়া গুলি মাথায় লেগে গুরুতর আহত হয় সে। পরে তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ ১২দিন ধরে তার চিকিৎসকদের শত চেষ্টার পরও তার জ্ঞান ফিরেনি। ঘটনাটি জানতে পেরে সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে গেছেন। তিনি নিজে ঢাকায় অবস্থান করে রাইয়ানকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। তার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন। এ বিষয়ে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলনে গিয়ে পুলিশের গুলিতে রাইয়ান গুরুতর আহত হয়েছে। ১২ দিন ধরে ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও তার জ্ঞান ফিরেনি। বিষয়টি জানতে পেরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। তিনি রাইয়ানের জন্য সবার কাছে দোয়া চান।