ইলিয়াস আলী আমার কর্মী ছিল: বিশ্বনাথে মুহিব
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:০৩ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ
নিখোঁজ বিএনপি নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলী ছিলেন আমার কর্মী। শুধু তাই নয়, এম ইলিয়াস আলীর উত্তানের পেছনে আমারও হাত ছিল। আর আমারও উত্থানের পেছনে ইলিয়াস আলীর হাত ছিল এবং তার পরিবারের সাথে ছিল আমার আত্মীয়তার বন্ধন। কিন্তু তার সাথে ছিল আমার রাজনৈতিক দ্বন্ধ এবং সংঘর্ষের কারণ। তার পরও এই সংসদ নির্বাচনে বিএনপি আমাকে সমর্থন করে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের বিশ্বনাথে নির্বাচনী শেষ জনসভায় সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মেয়র মুহিবুর রহমান এমন দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় আমাকে লন্ডন থেকে দেশে নিয়ে আসলেন বর্তমান সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি লন্ডন থাকতে বললেন যে মনোনয়ন তার পকেটে। একথা বলে আমাকে লন্ডন থেকে নিয়ে আসলেন। দেশে আসার পর শফিকুর রহমান চৌধুরী তাকে বিশ্বনাথে জনসভা করতে দেয়নি। তখন আমি তাকে নিয়ে বিশ্বনাথে জনসভা করেছি। পরে দেখা যায় তার মনোনয়নও পকেট ছিড়ে পড়ে গেলো। তিনি মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হওয়ার পর সেই নির্বাচনে আমাকে করালেন। কিন্তু এই আ.লীগের বাটপার চোরেরা আমাকে গাছে তুলে মই সরিয়ে নিয়ে যায়।ওই নির্বাচনে আমার দুই তৃতীয়াংশ ভোট ছিল। কিন্তু এই নির্বাচনে এম ইলিয়াস আলীর নাম নিয়ে মাঝ রাতে সূর্য উদয় হয়ে গেলো। প্রচার শুরু হলো যে সূর্য প্রকীকে ভোট দিলে ইলিয়াস আলীকে ফেরত পাওয়া যাবে। সকালে ঘুম থেকে ওঠেই সকালে সূর্য প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করে দেন। যাক আমি আবারও হেরে (নাই) হয়ে গেলাম। গত বছর আমাকে মেয়র পদে দাড় করিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছেন জনগণ। কিন্তু মেয়র পদে তেমন ক্ষমতা না থাকায় তিনি ক্ষমতা বাড়াতে এবারের সংসদ নির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। তবে এবারের নির্বাচন সুষ্টু হবে বলে তিনি এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন বলে জানান। ফলে তার বিজয় নিশ্চিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সাবেক ইউপি সদস্য এখলাছুর রহমানের সভাপতিত্বে ও যুবলীগ নেতা আখতার হোসেনের পরিচালনায় জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন ফজলু মিয়া মেম্বার, মুহিবুর রহমানের ছেলে আদনান মুহিব, ছাত্রলীগ নেতা শেখ ইয়াহ্ইয়া, আ.লীগ নেতা মাসুক এ রব্বানী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী শামিম আহমদ, খলিলুর রহমান, আ.লীগ নেতা সমর কুমার দাস, অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ও আলমগীর হোসেন।