দ্রুত সন্তান লাভে জীবনে আনুন পাঁচ বদল
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ৮:১৭ অপরাহ্ণ
৩০ পেরোনোর আগে এখন অনেক নারীই পরিবার বাড়ানোর কথা ভাবেন না। অনেকে বিয়েই করছেন ৩০-এর বেশ পরে। তার পরে সন্তানধারণের কথা ভাবেন।
তবে শরীর সব সময়ে সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারে না। ৩৫-এর পর থেকে নারীদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। যদিও মা হওয়ার ‘সেরা সময়’ বলে কিছু নেই। নিজের সময় অনুযায়ী মা হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন নারীরা।
কিন্তু বয়স ৩০ পেরোনোর পরে মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে কয়েকটি কথা মনে রাখতেই হবে। চিকিৎসকদের হিসেবে ৩০-এর পর মা হতে চাইলে কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে। কারণ, এই সময়ের পর থেকে সন্তানধারণের ক্ষমতা কমতে থাকে। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর ভ্রুণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনাও দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রে।
সুতরাং বেশি বয়সে মা হওয়ার পরিকল্পনা করার আগে কিছু কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত, আবার জীবনে কিছু পরিবর্তন আনাও উচিত।
চলুন জেনে নেই সন্তানলাভে জীবনে কি কি পরিবর্তন আনা উচিত।
১. বাড়তি ওজন কমাতে হবে
ওজনের সঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই। তবে ওজন বেশি হলে শরীরে বাসা বাঁধে হাজার রকম রোগব্যাধি। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শরীরে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগ বাসা বাঁধলে ভ্রুণের ক্ষতি হতে পারে। তাই মা হওয়ার পরিকল্পনা থাকলে আগে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
২. অতিরিক্ত শরীরচর্চা নয়
ভারী শরীরচর্চা কিংবা ব্যায়ামের অভ্যাসও কিন্তু গর্ভধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে। অতিরিক্ত শরীরচর্চা মহিলাদের পিরিয়ডের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এর ফলে প্রোজেস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ কমে গিয়ে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। ফলে গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে। ওজন কমানোর জন্য কতখানি শরীরচর্চা আপনার জন্য নিরাপদ, সে বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৩. গর্ভনিরোধক ওষুধ বন্ধ
নিয়মিত গর্ভনিরোধক ওষুধ খাচ্ছিলেন? ওষুধ বন্ধ করে দেওয়ার পরও শরীরের স্বাভাবিক ঋতুচক্রে ফিরতে সময় লাগবে। অন্তত মাস তিনেক সময় লাগতেই পারে। তাই সেই মতো পরিকল্পনা করুন। যে সময়ে পরিবারে নতুন সদস্য আনার কথা ভাবছেন, তার বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই গর্ভনিরোধক ওষুধ বন্ধ করা প্রয়োজন।
৪. ধূমপান বা মদ্যপান ত্যাগ করুন
নিয়মিত ধূমপান বা মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে? এই অভ্যাস কিন্তু বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বাড়ায়। অতিরিক্ত ধূমপান করলে ডিম্বাণুর ক্ষতি হয়। কেবল মহিলাদের ক্ষেত্রেই নয়, ধূমপানের অভ্যাস পুরুষদের শুক্রণুর সংখ্যা ও গুণমানের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। মদ্যপানও এ ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে শরীরে।
৫. মিলনের সময় কিছু কথা মাথায় রাখতে হবে
কী ভাবে সঙ্গমে লিপ্ত হচ্ছেন, তারও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সঙ্গম নিয়ে নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ভালবাসেন? সন্তানধারণের ইচ্ছা থাকলে সে সব না করাই ভাল। কী ধরনের সঙ্গমে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে, তার পরামর্শ নিতে পারেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে।