যে বাধায় আটকালেন এমপি মোকাব্বির, পেরিয়ে গেলেন ইয়াহইয়া
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ৮:২২ অপরাহ্ণ
মোকাব্বির খান, সিলেটে এক সময়ের অপরিচিত মুখ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেটের অন্য পাঁচটি আসনে জয়ী হন আওয়ামী লীগ নেতারা।আর এ আসনটিতে ক্ষমতাসীনদের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে হারিয়ে বিজয়ী হয়ে চমক দেখান মোকাব্বির খান।
এখন তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে জাতীয় ও স্থানীয়ভাবে পরিচিত। তার মাধ্যমে সিলেটে গণমানুষের কাছে পরিচিত দল গণফোরাম। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সিলেট-২ আসনে মনোনয়ন দাখিল করেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতির দায়িত্বে থাকা মোকাব্বির খান।
রোববার (০৩ ডিসেম্বর) সিলেটের ৬টি সংসদীয় আসনে ৪৭ প্রার্থীর মধ্যে বাছাই শেষে ৩১ জনের মনোনয়ন বৈধ ও ১৪ জনের বাতিল এবং দুইজনের স্থগিত করা হয়েছে। এরমধ্যে সর্বাধিক বাতিল প্রার্থী সিলেট-২ আসনে। এ আসনে ১৪ জন প্রার্থীর ৮ জন বাতিল ও ৬ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন রিটানিং কর্মকর্তা। এই বাতিলের তালিকায় আছেন মোকাব্বির খানও।
রিটানিং কর্মকর্তা শেখ রাসেল হাসান বলেন, মনোনয়নপত্রে দলের নির্বাহী সভাপতি হিসেবে তিনি নিজেই তার মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। কিন্তু তিনি যে দলের নির্বাহী সভাপতি বা সিদ্ধান্ত প্রদানকারী ব্যক্তি, তার কোনো প্রমাণ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে উপস্থাপন করতে পারেননি। এ কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন,‘এর আইনি ব্যাখ্যা আমি দিতে পারব না। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। ’
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, ‘আমি যে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি, এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন অবগত আছে। তাদের সঙ্গে আলাপ করেই আমি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। আমি এখন ঢাকায় যাচ্ছি। কমিশনে গেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। ’
এদিন সকাল থেকে বাছাইয়ের শুরুতে জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহইয়া চৌধুরীর মনোনয়নপত্র স্থগিত ঘোষণা করেন সিলেট জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান। যেখানে বলা হয় ইয়াহইয়া চৌধুরী আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত কাগজপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেননি। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়।
পরে বিকেলের দিকে ইয়াহইয়া চৌধুরী তার আয়কর রিটার্নের কাগজ জমা দিলে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
সিলেট-২ আসনে মনোনয়ন বাতিলের তালিকায় বর্তমান সংসদ সদস্য গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি মোকাব্বির খান ছাড়াও আরও আছেন – বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান, স্বতন্ত্র ইকবাল হোসেন, তৃণমূল বিএনপির মোহাম্মদ আব্দুর রব, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. জহির, স্বতন্ত্র মুশাহিদ আলী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আবুল কালাম আজাদ ও জাতীয় পার্টির মাহবুবুর রহমান চৌধুরী।
এছাড়া স্থগিত থাকা প্রার্থী মনোয়ার হোসেন কাগজপত্র জমা দিলে তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।
সিলেট-২ আসনে মনোনয়ন বৈধ প্রার্থীরা হলেন-সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল মান্নান খান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. জহির ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলতাফুর রহমান সোহেল ও স্থগিত থেকে বৈধ হন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া।