দেহে পানির ওজন কমানোর ৫টি কার্যকরী পদ্ধতি
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৫১:৩০,অপরাহ্ন ০৯ এপ্রিল ২০২১
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
আমাদের শরীরে শতকরা ৬০ ভাগ পানি। অনেক সময় শরীরের কিছু অংশে পানির ওজন বাড়ার ফলে শরীরের ওজন বেড়ে যায়। আপনি যদি নিজের ওজন পর্যবেক্ষণ করেন তাহলে বিষয়টি বুঝতে পারবেন। আমাদের শরীরে যে টিস্যুগুলো রয়েছে এই টিস্যুগুলো তরল সংগ্রহ করে এবং তাতে করেই শরীরে ফোলাভাব দেখা দেয়। বেশ কয়েকটি কারণে এমন হতে পারে। তবে পানির ওজন বৃদ্ধি স্থায়ী নয়।
এমন কোন একটি কারণ নেই যার ফলে শরীর পানি ধরে রাখে এবং ওজন বাড়ে। আপনি নিজার অজান্তে দিনে এমন কিছু কাজ করেন যার ফলে আপনার শরীরে ওজন বৃদ্ধি পায়। অত্যধিক লবণ বা কার্ব, ডিহাইড্রেশন, মাসিক হরমোন, জন্ম নিয়ন্ত্রণের হরমোন, কর্টিসল স্তর এবং ওষুধ, এই সমস্ত জিনিস আপনার শরীরকে পানি ধরে রাখতে বাধ্য করতে পারে। ৫টি কার্যকর পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি এই ওজন কমাতে পারবেন।
অতিরিক্ত কার্ব গ্রহণ বাদ দেওয়া:
কার্বোহাইড্রেট আমাদের দেহে যে তিনটি প্রয়োজনীয় ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে তার মধ্যে একটি। আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে এটি গ্রহণ করলে তা পানি ধরে রাখার কারণ হয়। যখন আপনি প্রচুর পরিমাণে কার্বস গ্রহণ করেন যা দেহে শক্তি উৎপাদন করার জন্য ব্যবহার করে না, তখন এটি গ্লাইকোজেনে রূপান্তরিত হয় এবং শক্তির জন্য পেশীতে জমা হয়। এ থেকে শরীরে পানি ধরে রাখার পরিমাণ বাড়ে।
লবণ খাওয়া কমানো:
লবণ পানিকে আকর্ষণ করে এবং আপনার শরীরকে আরও বেশি পরিমাণে পানি সঞ্চয়ী করে যা ফোলা এবং ওজন বাড়ায়। আপনি যদি খুব বেশি নোনতা খাবার গ্রহণ করেন তবে তা আজকেই বাদ দিন। আমাদের শরীরের কাজ করতে প্রতিদিন ২ হাজার ৩০০ মিলিগ্রাম লবণের প্রয়োজন। তবে লবণ এমন অনেকগুলো খাদ্যপণ্যে লুকিয়ে থাকে যা আমরা সম্ভবত জানি না। সুতরাং, আপনার প্রতিদিনের সোডিয়াম গ্রহণের বিষয়ে সতর্ক হন এবং কম লবণ গ্রহণের চেষ্টা করুন।
পানি পান করা:
পানির ওজন হ্রাস করতে আরও বেশি পানি পান করা কিছুটা অদ্ভুত বলে মনে হতে পারে তবে বিশ্বাস করুন এটি কার্যকর । আমাদের শরীর বেশিরভাগ পানি দিয়ে গঠিত এবং আপনি যখন এটির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় পান না করেন, তখন আপনার শরীর এতে তরল পদার্থ সঞ্চার করতে শুরু করে। এমনকি এটি অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হয়। যখন আপনি আপনার দৈনিক তরল গ্রহণ ২ থেকে ৩ লিটারের মধ্যে বজায় রাখেন তখন এটি পানি ধরে রাখবে না এবং এর বেশি পরিমাণে প্রস্রাবের বাইরে চলে যাবে। এমনকি আপনি খাদ্যতালিকায় শসা, তরমুজ এবং টমেটো জাতীয় হাইড্রেটিং ফল যুক্ত করতে পারেন।
পটাশিয়াম:
পটাশিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্র এবং পেশী সংকোচনে সহায়তা করে। এটি সোডিয়ামের বিপরীতে কাজ করে এবং কোষের বাইরে পুষ্টিকে কোষে স্থানান্তর করতে এবং কোষের বাইরের পুষ্টিকে অপচয় করতে সাহায্য করে। পানির ওজন বাড়ার ক্ষেত্রে ডায়েটে আরও বেশি পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যুক্ত করলে পানি ধরে রাখা এবং রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করতে পারে। কলা, আলু, পালং শাক পটাশিয়ামের কিছু ভাল উৎস।
ব্যায়াম:
পানির ওজন হ্রাস করার জন্য ব্যায়াম করা প্রাথমিক উপায়। ব্যায়াম করলে কোষগুলোতে উপস্থিত থাকা পানি শরীর থেকে কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া গ্লাইকোজেন পোড়াতে সহায়তা করে এবং লিম্ফ নোডগুলিকে ক্রিয়ায় রূপান্তর করতে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে রক্তের প্রবাহকেও উদ্দীপিত করতে এবং রক্ত সঞ্চালনকে উন্নত করতে পারে, যা সারা শরীর জুড়ে তরলের পরিমাণ কমাতে পারে।
সূত্র: দ্যা টাইমস অব ইন্ডিয়া