পানির শাক হেলেঞ্চার উপকারিতা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২:৩৬ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চেলের একটি অতি পরিচিত শাক হচ্ছে হেলেঞ্চা। এটা এক প্রকার জলজ উদ্ভিদ। এটি সাধারণত কাদা পানিতে জন্মায়। এই শাকের স্বাদ কিছুটা তিতা। এটি শাক ভাজি করে এবং এর ঝোল রান্না করেও খাওয়া যায়। গ্রাম অঞ্চলে ডাল মিশিয়ে বড়া বানিয়েও এটি খাওয়া হয়।
হেলেঞ্চা শাকে যেসব পুষ্টি উপাদান আছে :
হেলেঞ্চাতে শতকরা ২.৯ ভাগ প্রোটিন, ০.২ ভাগ ফ্যাট, ৫.৫ ভাগ শর্করা, এবং ২.২ ভাগ লবণ আছে। এছাড়া এতে প্রচুর ভিটামিন এ আছে।
ঔষধি গুণ:
হেলেঞ্চা ভেষজ চিকিৎসায় কোষ্ঠকাঠিন্য, হাঁপানি, স্নায়ুরোগ, বাতের ব্যথা, ঘামাচি, হাত-পা জ্বালা ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণাতেও এর অনেক গুণ পাওয়া গেছে; যেমন- এন্টি অক্সিডেন্ট, জীবানু নাশক, ব্যথা নাশক, ডায়ারিয়া হ্রাস, স্নায়ু উত্তেজনা প্রশমন ইত্যাদি।
হেলেঞ্চা শাকের উপকারিতা :
আপনি যদি সর্দি কাশিতে ভুগে থাকেন তাহলে এই অস্বাস্তিকর সর্দি কাশি থেকে রেহাই পেতে পারেন এই শাকের মাধ্যমে। এতে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আমাদের সর্দি কাশি কামায় এবং বুকে জমে থাকা কফ নরম করতে সহায়তা করে।
অনেক দিন থরে জ্বরে আক্রান্ত থাকলে এটি খেলে আপনার জ্বর তাড়াতাড়ি সেরে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এটি খাওয়ার ফলে জ্বর দ্রুত সেরে যায় এবং আপনার শরীর ফুরফুরে হয়ে উঠে।
অনেক সময় আপনায় শরীরে ব্যাথা হয় এবং বাতের ব্যাথায় কষ্ট পেয়ে থাকেন। এই সব সমস্যায় হেলেঞ্চা একটি কার্য্কারী ওষধ হিসেবে কাজ করে । এই শাকে থাকা কিছু রাসায়নিক উপাদান এবং হালকা তিতা স্বাদের জন্য শরীরের যেকোন ব্যাথা খুব দ্রুত ভালো হয়ে যায়।
আমরা একটানা এক স্থানে অনেক সময় ধরে বসে থাকলে বা শুয়ে থাকলে কোমর বা দুই পা ফুলে যায়। অনেক সময় ব্যাথা হয় বা অবস হয়ে পড়ে। নিয়মিত হেলেঞ্চা শাক খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আমাদের জিবে অনেক সময় সাদা রঙের স্তর পড়ে। এর ফলে জিব ভারি ভারি মনে হয় এবং খাবারের স্বাদ ঠিক মত পাওয়া যায় না । এ সময় হিলেঞ্চা শাক খেলে এটি অনেক কমে যায়। হেলেঞ্চা শাক খাবারের রুচি ফিরে পেতে সাহায্য করে থাকে।