যে কারণে স্ত্রী ও শ্বাশুড়িকে নির্মমভাবে খুন করে জামাতা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ জুন ২০২০, ৯:৫৮ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
শ্রীমঙ্গলে স্ত্রী ও শাশুড়িকে নির্মমভাবে খুন করেছে ঘাতক জামাতা আজগর মিয়া। সে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে সকল ঘটনাই স্বীকার করেছে। আজগর বলেন, তার ৫ এবং ৩ বছরের দুটি শিশু সন্তান আছে। দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রী আলাদাভাবে মায়ের সাথে থাকে। আর নিজের বাড়িতে সন্তান দুটিকে সে একাই লালন পালন করে আসছে।
বার বার সে স্ত্রীকে নিতে চাইলেও সে স্বামীর বাড়ি যেতে রাজি হয়নি। দীর্ঘদিনের একাকিত্ব এবং দুই সন্তানকে একা লালন পালন করতে গিয়ে সে হাঁপিয়ে ওঠে। তাই সে সিদ্ধান্ত নেয় এভাবে কষ্টভোগের চেয়ে স্ত্রীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেবে। সেই পরিকল্পনা মতো ঘটনার দিন রাতে শ্বশুরবাড়ির বেড়া কেটে ঘরে ঢোকে জোড়া খুন করে। মূলত সংসার করতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে খুন করে বলে স্বীকার করে আজগর।
শ্রীমঙ্গলে গত শুক্রবার একসাথে স্ত্রী ও শাশুড়িকে হত্যার ঘটনার মূল আসামি মেয়ে জামাই আজগর মিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার একমাত্র আসামি আজগরকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। রোববার(৭ জুন) দুপুরে আসামিকে মৌলভীবাজার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে ফৌ. কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় সে স্বীকারোক্তি দেয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ঘুমন্ত অবস্থায় উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের জামসি এলাকায় মা জায়েদা বেগম (৫৫) ও মেয়ে ইয়াসমিন বেগম (৩০) খুন করে ঘাতক জামাই। পরে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনার পর নিহত ইয়াসমিনের বোন জেসমিন বাদী হয়ে ইয়াসমিনের স্বামী আজগর মিয়াকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
সিনিয়র পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল- কমলগঞ্জ সার্কেল) আশিকুজ্জামান আশিক বলেন, মামলা দায়েরের দিন শনিবার(৬ জুন) রাতে আমরা আসামীকে গ্রেফতার করেছি। পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছে।
তিনি বলেন, আসামীর কথামতে বৃহস্পতিবার রাতে শাশুড়ি এবং স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়লে সে বেড়া কেটে ঘরে ঢোকে। চুলার পাশে থাকা লোহার চোঙ্গা দিয়ে প্রথমে শাশুড়িকে এবং পরে স্ত্রীকে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।