বিশ্বনাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহতের পরিচয় শনাক্ত, লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:১২:২৭,অপরাহ্ন ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০
সুরমা নিউজ:
সিলেটের বিশ্বনাথে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে ডাকাত সর্দার ফটিকের স্ত্রী হালিমা বেগম সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ফটিকের লাশ দেখে তাকে সনাক্ত করেন। পরে মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের বিলাপ করতে দেখা যায়। নিহত ফটিক মিয়া সিলেটের বিশ্বনাথের পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ইদ্রিছ আলীর ছেলে।
শনিবার ময়না তদন্ত শেষে বিকেলে ফটিকের লাশ তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন। এদিকে ডাকাত-পুলিশের গুলাগুলিতে ১৮টি মামলার আসামী ডাকাত সর্দার ফটিক ওরফে লিটনের মৃত্যুর খবর শুনে বিশ্বনাথ উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানের লোকজন সন্তেুাষ্টি প্রকাশ করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ডাকাত সর্দার ফটিক ওরফে লিটনের বিরুদ্ধে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন থানায় থাকা ১৮টি মামলার মধ্যে ১১টি ডাকাতির মামলা, ৩টি অস্ত্র মামলা, ১টি ছিনতাই মামলা, ২টি ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা ও ১টি অন্যান্য মামলা। তার বিরুদ্ধে থাকা এসব মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
স্ত্রী কর্তৃক ডাকাত সর্দার ফটিক ওরফে লিটনের পরিচয় স্ত্রী সনাক্ত হওয়ার ও তার বিরুদ্ধে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন থানায় ১৮টি মামলা থাকার সত্যতা স্বীকার করেছেন বিশ্বনাথ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী।
এর আগে শুক্রবার রাত ৩টার দিকে উপজেলা সদরের বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর বাইপাস সড়কের মরমপুর-সুরিরখাল এলাকার মধ্যবর্তী জায়গায় সড়কের পার্শ্বের গাছ কেটে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল অস্ত্রধারী একটি ডাকাত দল।
নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে শুক্রবার দিবাগত ভোররাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে থানার এসআই মিজানুর রহমান তার সঙ্গীয় কনস্টেবল চন্দন গৌর ও রাসেল দাসকে নিয়ে এলাকা টহল দিচ্ছিলেন।
পুলিশের গাড়ি দেখতে পেয়ে ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করতে শুরু করে। এতে পুলিশ সদস্যরা গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা, পরিদর্শক (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী, এসআই নূর হোসেন, দেবাশীষ শর্ম্মা নিজের ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
এরপর স্থানীয় লোকজনকে সাথে নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল তল্লাশি করলে স্তুপ করা মাটির উপর এক ডাকাত সদস্যের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় ওই ডাকাত সদস্যের হাতে একটি দেশীয় পাইপগান ও কোমরে থাকা ৩টি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করে।