সুনামগঞ্জে শিশুর বস্তাবন্দি লাশ: দাদা চাচা ফুফুসহ আটক ৯
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ জানুয়ারি ২০২০, ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে মাদ্রাসাপড়ুয়া ৭/৮ বছর বয়সী শিশু তোফাজ্জল অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে থানা পুলিশ দাদা-চাচা ও ফুফুসহ আরও ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে গেছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় আটককৃতরা হলেন- উপজেলার সীমান্তগ্রাম বাঁশতলার নিহত শিশু তোফাজ্জলের দাদা জয়নাল, চাচা ইকবাল হোসেন, ফুফু শেফালী বেগম, অপর ফুফু শিউলী বেগম, প্রতিবেশী হবি রহমান, তার স্ত্রী খইরুন নেছা ও তাদের ছেলে রাসেল।
এর আগে শনিবার সকালে নিহত তোফাজ্জলের পরিবারের সঙ্গে পূর্ব বিরোধে মামলা মোকদ্দমার জের থাকায় এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রথম দফায় গ্রামের কালা মিয়া ও তার ছেলে সেজাউল কবিরকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছেন।
আটক কালা মিয়ার ছেলে আটককৃত অপর সন্দেহভাজন সেজাউল কবিরের সঙ্গে নিহত শিশু তোফাজ্জলের ফুফু শিউলি বেগমের বিয়ে হয়। নিহতের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ বিয়ের পরে শিউলিকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়।
এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে পূর্ব বিরোধ ও মামলা-মোকদ্দমা চলাকালীন অবস্থায় গত বুধবার নিখোঁজ হন শিশু তোফাজ্জল। এরপর তোফাজ্জলের পরিবারের অভিযোগের আঙ্গুল তুলেন কালা মিয়া ও তার ছেলে সেজাউলের প্রতি।
তারা তাদের অভিযোগে বলেন, অপহরণের পর চিরকুট লিখে ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করার পর মুক্তিপণ না দেয়ায় তোফাজ্জলকে হত্যা করা হয়। আর এবার হত্যার অভিযোগে নিহত তোফাজ্জলের ফুফু শিউলীর শ্বশুর কালা মিয়া ও জামাই সেজাউলের প্রতি।
প্রসঙ্গত, নিখোঁজের চারদিন পর শনিবার ভোররাত সোয়া ৫টার দিকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে বস্তাবন্দি অবস্থায় তোফাজ্জল হোসেন নামে ৭ বছর বয়সী এক শিশুর লাশ সিমেন্টের বস্তায় বন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে্।