শ্রীমঙ্গলে হাজারো মানুষের চলাচলের ভরসা বাশেঁর সাঁকো!
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ জুলাই ২০১৯, ৫:১৬ অপরাহ্ণ
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিক্কা, দোকানগাঁও গ্রামের মানুষের সিন্দুখাঁন বাজার, সাতগাঁও বাজার, সিন্দুরখান ইউনিয়ন পোস্ট অফিস, হাসপাতালসহ শ্রীমঙ্গল শহরের সাথে যোগাযোগের জন্য উদনা ছড়া নামক ছড়াটি পারাপারে একমাত্র ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো।
জানা গেছে, উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নে সাতগাঁও বাজার সংলগ্ন ছড়ার উপড় দিয়ে প্রায় ১৫ বছর ধরে তিনটি গ্রামে প্রায় ৫ হাজার মানুষ চলাচল করে আসছে। এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে বাঁশ দিয়ে সাঁকোটি নির্মাণ করে। একটি ব্রিজের অভাবে গ্রামবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শত শত নারী, শিশু, পুরুষ এই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছেন। ব্রিজ না থাকায় ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স এ গ্রামগুলোতে প্রবেশ করতে পারে না।
এলাকাবাসী জানান, গর্ভবতী মহিলাদেরকে জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে এই সাকোঁর উপর দিয়ে হাসপাতালে আনা নেওয়া করতে হয়। এলাকায় কোথাও আগুন লাগলেও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসার কোন পথ নেই। তাছাড়া একজন মানুষ মারা গেলে এই সাকোঁ দিয়েই ঝুকিঁ নিয়ে লাশ পারাপার করতে হয়। সেতু না থাকায় যাতায়াত, উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে আনা-নেয়া, অন্যান্য মালামাল বহনে ভোগান্তি ও অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে। বর্ষার সময় মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকে না। প্রতি বছর বর্ষায় এই সাকোঁটি ভেঙ্গে যায়। তখন নতুন করে নির্মাণ বা সংস্কার করতে হয়। এখানে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ করা প্রয়োজন। এখানে একটি সেতু নির্মিত হলে শিক্ষার্থীসহ এলাকার হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
ভুক্তভোগী আব্দুল খালেক, রুপজান বিবি, আতিকুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন জানান, এ উপজেলার সব এলাকায় রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ হলেও এই গ্রামের চিত্র ভিন্ন। রাস্তা পাকাকরণ ও সেতু না থাকার কারণে এ এলাকার লোকজনকে এখনও পায়ে হেঁটে যাতায়াত ও মাথায় করে তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য হাট-বাজারে আনা নেওয়া করতে হয়। এছাড়া স্কুল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিভিন্ন অফিসের লোকজন ও রোগীদের চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
গ্রামের আব্দুল আওয়াল ও খালেদ হোসেন বলেন, আমরা এই পার থেকে ওই পারে যেতে হলে আমাদের একমাত্র যোগাযোগের ভরসা হচ্ছে এই বাশেঁর সাকোঁ। গ্রামের ছেলে মেয়েরা পাশের গ্রামেরবিদ্যালয়ে যেতে হলে এই সাকোঁ দিয়ে চলাচল করতে হয়। এক গ্রামের কৃষক অন্য গ্রামে কৃষি কাজ করে থাকে। কৃষিজ পণ্য আনা নেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অনেক কষ্ট হয়।
এব্যাপারে স্থানীয় সিন্দুরখান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হেলাল জানান, এখানে ব্রিজ নির্মাণ করার জন্য উপজেলা পিআইও অফিসে আবেদন দেয়া আছে। মৌলভীবাজার -৪ আসনের (শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ) এমপি এখানে এসে বলেছেন শীঘ্রই ব্রিজ নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি সরকারি খাতে বরাদ্দ আসলেই এখানে ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।