এমসি কলেজ ছাত্রাবাস ভাংচুরের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যগ্রহণ
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জুলাই ২০১৭, ১১:১২ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রবাস ভাংচুরের ঘটনায় ৬-৭ জন প্রত্যক্ষদর্শীর লিখিত সাক্ষ্যগ্রহণ নিয়েছে তদন্ত কমিটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত এই সাক্ষ্যগ্রহণ নেয়া হয়। এদিকে, ছাত্রাবাস খুলে দেয়ার দাবিতে অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শিক্ষক মিলনায়তন ও অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এসময় কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা শিক্ষক মিলনায়তনের প্রবেশমুখে তালা দিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে তারা কর্তৃপক্ষের কাছে ছাত্রাবাস খুলে দেয়ার দাবিতে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় কলেজের অধ্যক্ষ আন্দোলনকারীদের জানান- মূলত নিরাপত্তার কারণে ছাত্রাবাস বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামীকাল শনিবার এ নিয়ে বৈঠক রয়েছে সেখানে উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে বলে জানান অধ্যক্ষ।
তদন্ত কমিটির প্রধান অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক অধ্যক্ষ আব্দুল কুদ্দুস জানান- ছাত্রবাস ভাংচুরের ঘটনায় ৬/৭ জন প্রত্যক্ষদর্শীর লিখিতভাবে সাক্ষ্যগ্রহণ নেয়া হয়েছে। স্বাক্ষিরা শিক্ষার্থী না স্থানীয় এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।
আদালতের নির্দেশে থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা ও কলেজ কর্তৃপক্ষের ঘটিত তদন্ত কমিটি সাংঘর্ষিক হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন- এসব বিষয় নিয়ে কথা বলুন এমসি কলেজের অধ্যক্ষের সাথে। কারণ তিনিই মামলার বাদী ও তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
এমসি কলেজের অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র চন্দ জানান- মামলা ও কলেজ কর্তৃপক্ষের ঘটিত তদন্ত কমিটিই দুটি আলাদা বিষয়। মামলা চলবে মামলার মতো আর তদন্ত কমিটির কাজ করবে তাদের নিজস্ব গতিতে।
তদন্ত কমিটির সদস্য ও এম সি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক তোতিউর রহমান জানান- প্রত্যক্ষদর্শী সকলের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করা হয়েছে। তাদেরকে একটি প্রেসক্রাইবড ফরম দেয়া হয়েছিল। তারা এই ফরম পূরণ করে দিয়েছেন। এতে তদন্ত কমিটির ৫ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের বিবদমান সঞ্জয় ও টিটু গ্রুপের বিরোধের জের ধরে গত ১৩ জুলাই সকালে এম সি কলেজের ছাত্রাবাস ভাংচুর করা হয়। এরপরপরই কলেজের অধ্যক্ষ জরুরি সভার আয়োজন করে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ছাত্রাবাস বন্ধ ঘোষণা করেন এবং সন্ধ্যা ৬টার ভিতরে ছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেন। এতে ছাত্রাবাসের ৩৯টি কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ঘটনায় কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- অধ্যাপক তোতিউর রহমান, অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন ও অধ্যাপক আবুল আনাম মো. রিয়াজ।
অপরদিকে, ঘটনার পাঁচ বছর পাঁচ দিন আগে শিবির প্রতিহত করতে গিয়ে ২০১২ সালের ৮ জুলাই ছাত্রলীগ এ ছাত্রাবাসের তিনটি ব্লক আগুন দিয়ে পুড়িয়েছিল।