মৌলভীবাজারে বড়হাট জঙ্গি আস্তানায় অভিযান স্থগিতের পর গুলি-বিস্ফোরণ
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ মার্চ ২০১৭, ৯:২৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
মৌলভীবাজারের বড়হাটের জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’ আজকের মতো স্থগিত ঘোষণার পর মুহুর্মুহু গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। আজ শুক্রবার রাত আটটার দিকে প্রথমে গুলি, পরে বিস্ফোরণ এবং পরে আবার একটানা গুলির শব্দ শোনা গেছে।
বড়হাট এলাকার আবুশাহ দাখিল মাদ্রাসা গলির দোতলা একটি বাড়িতে জঙ্গি আস্তানা ঘিরে আজ অভিযান চালায় পুলিশ। ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’ নামের এই অভিযানে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সঙ্গে আছে সোয়াট। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট অভিযানে সহায়তা করছে। অভিযান চলাকালে একাধিকবার গুলি ও বিকট বিস্ফোরণের শব্দে শোনা যায়। দিনভর অভিযান শেষে সন্ধ্যায় এক ব্রিফিংয়ে আজকের মতো অভিযান শেষ করার কথা জানান কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আগামীকাল সকালে আবার অভিযান চলবে। অভিযান স্থগিত করার ঘণ্টা খানেকের মধ্য আবার ওই আস্তানা থেকে রাত আটটার দিকে প্রথমে কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর বিস্ফোরণের শব্দ এবং একটানা ৩০ সেকেন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর রাত সোয়া আটটার দিকে বৃষ্টি নামে। এর কয়েক মিনিট পরে মুহুর্মুহু গুলির শব্দ শোনা গেছে।
পুলিশের ভাষ্য, বড়হাট এলাকার আবুশাহ দাখিল মাদ্রাসা গলির দোতলা একটি বাড়িতে জঙ্গি আস্তানাটি অবস্থিত। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বাড়িটি জঙ্গি আস্তানা হিসেবে শনাক্ত করে ঘিরে রাখে পুলিশ। বুধবার ওই আস্তানা থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দিনভর বাড়িটি থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া না গেলেও গভীর রাতে গুলি-বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
বুধবার ভোরে শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে নাসিরপুর গ্রামে আরেকটি জঙ্গি আস্তানা শনাক্ত হয়। প্রায় ৩৪ ঘণ্টা ঘিরে রেখে সেখানে ‘অপারেশন হিট ব্যাক’ নামে অভিযান চালায় পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সমাপ্তি টানা হয়। সেখানকার জঙ্গি আস্তানা থেকে ‘ছিন্নভিন্ন সাত থেকে আটজনের লাশের অংশ’ পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ। কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম গতকালই জানিয়েছিলেন, নাসিরপুরে অভিযান শেষ করার পর বড়হাটের জঙ্গি আস্তানায় পুরোদমে অভিযান শুরু করা হবে।