ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ফেরদৌস খাঁন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ মার্চ ২০১৭, ৪:৩৮ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ফেরদৌস খাঁন। তালা প্রতিক নিয়ে মাঠে থাকলেও আওয়ামীলীগের সমর্থন পাচ্ছেন তিনি। চেয়ারম্যান প্রার্থী নিয়ে ওসমানীনগর উপজেলায় আওয়ামীলীগ দ্বিখন্ডিত হলেও তিনি উভয় গ্রুপের সমর্থন পাচ্ছেন বলে জানান নেতাকর্মীরা। আর ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগের সমর্থন নিয়ে প্রথমবার অনুষ্টিত ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ইতিহাসের অংশ হতে চান ফেরদৌস খান।
যুবলীগ নেতা আমিরুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচনে শেষ মুহুর্তে অংশ নিয়ে প্রচারণায় কিছুটা ঘাটতি থাকলেও মাঠের অবস্থায় ফেরদৌস খান অনেক এগিয়ে। আমরা শতভাগ আশাবাদী তার বিজয়ের ব্যাপারে।
উল্লেখ্য,এ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ৪ প্রার্থী। প্রাথমিক অবস্থায় ৩ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল বলে জানাযায়। সবার মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়ে গেলে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী মোঃ গয়াছ মিয়াকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত বলে ঘোষনা করা হয়।
অপর দিকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ফেরদৌস খান হাল ছাড়েননি। তার মনোনয়ন পত্র বৈধ বলে ঘোষনা করে হাইকোর্ট। হাইকোর্ট ডিভিশনের দ্বৈত বেঞ্চের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও এ.কে.এম জহিরুল হক। এক রীট পিটিশনের আবেদনের প্রাথমিক শুনানী শেষে এ রায় দেন রবিবার (২৬ ফেব্র“য়ারী)।
জানা যায় , স্থানীয় সরকার সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ৫ জনের উপর ৪ সপ্তাহের রুল জারি করে আদালত। আবেদনকারীদের পে মামলা দায়ের করেন এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া ও শুনানীতে অংশ গ্রহণ করেন সিনিয়র আইনজীবী এ্যাড আব্দুল মতিন খসরু।
এ্যাডঃ মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া, রীট আদেশের ব্যাপারে বলেন, সিলেট জেলার ওসমানী নগর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন মোঃ ফেরদৌস খান। গত ১০ ফেব্র“য়ারী যাচাই-বাছাই শেষে সংশ্লিষ্ট রিটানিং অফিসার তাঁর প্রার্থীতা বাতিল ঘোষণা করেন। উক্ত বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে আপীল দায়ের করলে সিলেট জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের আদেশ বহাল রাখেন। এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ নাই বলে গত ১৬ ফেব্র“য়ারী এ সংক্রান্ত আদেশ প্রদান করা হয়।
উক্ত প্রার্থীতা বাতিলের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট রীট পিটিশন দায়ের করেন ফেরদৌস খান। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শুনানীর শেষে আদালত ফেরদৌস খান এর স্বতন্ত্র প্রার্থীতা বৈধ বলে ঘোষনা করেন এবং প্রতীক বরাদ্দ দেয়ায় নির্দেশনা পদান করা হয়।