ওসমানীনগরে শিক্ষিকার প্রত্যাহারের দাবীতে ক্লাস বর্জন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ মার্চ ২০১৭, ১১:০২ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজঃ ওসমানীনগরের অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সাথে অসদাচরণ করায় নিজ করনসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ফেরদৌসি বেগমের প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার থেকে ক্লাস বর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষিকা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা লাগাতার ক্লাস বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছের ম্যানেজিং কমিটি, অভিভাবক এবং এলাকাবাসী।
শনিবার সকাল ১১টায় গোয়ালাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মানিকের করনসী গ্রামস্থ বাড়িতে অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়। বিদ্যালয় ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি সৈয়দ আনোয়ার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মানিক, সাবেক চেয়ারম্যান হারুন মিয়া, সৈয়দ কওছর আহমদ, আব্দুর রব গেদা আব্দুল কুদ্দুছ শেখ, মিছবা রাজা চৌধুরী, ফারুক মিয়া প্রমূখ। সভায় এব্যাপারে স্থানীয় সাংসদ, জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউএনও, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে স্মারক লিপি প্রদানের সিদ্ধান্তও নেয়া হয়।
উপজেলা শিক্ষা অফিস, ম্যানেজিং কমিটির ও অভিবাবক সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিনা অনুমতিতে একজন মহিলা অভিভাবক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার কক্ষে প্রবেশ করায় তার সাথে অসদাচরণ করেন শিক্ষিকা ফেরদৌসি বেগম। ঘটনার সময় বিদ্যালয় মাসিক সভা চলছিল। এই অভিবাবক তাৎক্ষণিক উপস্থিত ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের কাছে নালিশ করেন। কমিটির সদস্যরা বিষয়টি শিক্ষিকার নিকট জানতে চাইলে তাদের সাথেও অসদাচরণ করেন ঐ শিক্ষিকা। একপর্যায়ে তিনি পুলিশও ডেকে আনেন। এর জেরে ম্যানেজিং কমিটি, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে শনিবার বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ২৮২ শিক্ষার্থী স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সৈয়দ আনোয়ার আলী বলেন, শিক্ষিকা ফেরদৌসি অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সাথে খারাপ আচরণ করায় আমরা শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। ঐ শিক্ষিকাকে প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত আমাদের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠাবনা।
শিক্ষিকা ফেরদৌসি বেগম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি অসত্য উল্লেখ করে বলেন, বিদ্যালয়ে একজন পেরা শিক্ষ নিয়োগ দিনে অপারগতা প্রকাশকরায় কমিটির সভাপতি ও চেয়ারম্যান আমার বিরুদ্ধে ক্ষেপে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটাচ্ছেন।
ওসমানীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৌরভ পাল মিঠুন ও বালাগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্তকর্তা রতন চন্দ্র সরকার ক্লাস বর্জনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।