সিলেটে চলছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট, যাত্রীদের চরম ভোগান্তি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ৩:১৬ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাদকসহ দুই শ্রমিককে ছাড়িয়ে আনার সময় শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনার জেরে জেলা মাইক্রোবাস শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে। শনিবার সকাল ৬টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ফলে বাস-ট্রাক-মাইক্রোসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ধর্মঘটের কারণে সকালে বের হওয়া শহরের বিভিন্ন রুটের যাত্রীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে।
এদিকে, সকাল থেকে সিলেটের প্রবেশদ্বারখ্যাত চন্ডিপুল, হুমায়ুন চত্বর, টুকেরবাজার, উপশহর পয়েন্টসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এছাড়া রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভও করতে দেখা গেছে তাদের।
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন ঐক্য পরিষদের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক জানান, শুক্রবার রাতে তিন শ্রমিককে ডিবি পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। আটকদের মুক্তির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় মাইক্রোবাস শ্রমিকরা। তাদের এ কর্মসূচির সাথে একাত্বতা পোষণ করে আজ সকাল থেকে জেলায় সবধরনের পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে সিলেট নগরীর উপশহর পয়েন্টে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় পরিবহন শ্রমিকরা। এতে দুই পুলিশসহ অন্তত ৭ জন আহত হন। এদের মধ্যে মুশাহিদ আলী নামের ট্রাকশ্রমিককে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পরে শ্রমিকদের মুক্তির দাবিতে রাত সাড়ে ১১টার দিকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় মাইক্রোবাস শ্রমিকরা।
সিলেট জেলা মাইক্রোবাস সমিতির সভাপতি শাহ রিপন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার রাতে তিন শ্রমিককে ডিবি পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। আটকদের মুক্তির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।আজ সকাল থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের ছাড়িয়ে আনতে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করলে পুলিশ হামলা চালায়। এসময় তাদের একটি পিকআপ ভ্যান ভাংচুর করে পুলিশ। পরে পিকআপ ভ্যানটিও পুলিশ নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন এ শ্রমিক নেতা।