সিলেটে ৬ অস্ত্রধারী ছাত্রলীগ নেতাদের খুঁজছে পুলিশ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ৮:০০ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেটের এমসি কলেজে দা ও রড উঁচিয়ে ছাত্রদলকে ধাওয়াকারী ৬ অস্ত্রধারীকে খুঁজছে পুলিশ। এরা ৬ জনই এমসি কলেজের ছাত্র এবং সরাসরি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আদালত থেকে পরোয়ানা জারির পর তাদেরকে গ্রেফতারে তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ। ‘যে কোনো সময়’ তাদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে সংশ্লিষ্টদের মন্তব্য।
পরোয়ানাভুক্ত ছয় অস্ত্রধারী হচ্ছেন- সিলেট মহানগরীর শাহপরান থানার সাদিপুরের তারেক আহমদ (২৩), একই থানার মিরাপাড়ার সালমান অপু ওরফে শামসুল ইসলাম অপু (২৪), মোগলাবাজার থানার দাউদপুরের আলতাফ হোসেন মুরাদ (২৩), কানাইঘাট উপজেলার ফকিরেরগাঁওয়ের আপন (২৩), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার নগদীপুরের রবিউল হাসান (২২) ও মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার উত্তরবাগ গ্রামের সৌরভ আচার্য (২৬)।
তন্মধ্যে তারেক ও অপু এমসি কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষে, সৌরভ ডিগ্রি ৩য় বর্ষে, মুরাদ মাস্টার্সে, রবিউল ডিগ্রি ২য় বর্ষে এবং আপন অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিভূতি ভূষণ ব্যানার্জি বলেন, ‘আদালত যাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছেন, তাদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। যে কোনো সময় তারা ধরা পড়বে।’
‘প্রত্যেক ওয়ারেন্টেই পুলিশ বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখে।’ উল্লেখ করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রায় এক যুগ পর গত মাসে এমসি কলেজ ছাত্রদল শাখার আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়। কমিটি গঠিত হওয়ায় ৩০ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিলের আয়োজন করে ছাত্রদল। ওই মিছিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী প্রকাশ্যে দা, রড উঁচিয়ে ধাওয়া করেন। এ ঘটনায় ওইদিনই সিলেটের বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং পরদিন স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়।
বিষয়টি নজরে আসায় সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো ফৌজধারী কার্যবিধির (কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিওর) ১৮৯৮ এর ২৫ ধারা অনুসারে ওই ধাওয়াকারী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। এছাড়া সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশও দেন তিনি।
সূত্র জানায়, সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া কথা থাকলেও পুলিশ সময় বর্ধিত করে। গত সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (সদর) শাহরিয়ার আল মামুন আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর গত বুধবার আদালত তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এমসি কলেজের ওই ছয় শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। একইসাথে দ্রুতবিচার আইনে মামলা রেকর্ডভুক্ত করার আদেশও দেন আদালত। এর প্রেক্ষিতে দ্রুতবিচার আইনে মামলা (নং-৭৮/২০১৭ সিআর) রেকর্ড করা হয়েছে।
আদালতের পরোয়ানা জারি ও মামলা রেকর্ডভুক্ত হওয়ার পরই অভিযুক্তদের গ্রেফতারে তৎপর হয়ে ওঠেছে পুলিশ।