ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাচনে প্রচারণায় নামছেন জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতারা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ৩:৩৫ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিএনপি ও অন্যান্য মনোনীত প্রার্র্থীদের পক্ষে বাঘা বাঘা নেতারা নির্বাচনী মাঠে নামছেন। আগামী ১৭ তারিখ মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন। এর পরেই এলাকায় দেখা যেতে পারে জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের। এমনটাই আভাস দিয়েছেন প্রার্থী ও দলীয় নেতাকর্মীরা। এই প্রথম দলীয় প্রতিকের উপজেলা নির্বাচনকে প্রত্যক রাজনৈতিক দলই অত্যান্ত গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে দু’একদিনের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ও বিএনপির কেন্দ্র ও জেলার শীর্ষ নেতারা নির্বাচনী প্রচারণায় নামবেন বলে আভাস পাওয়া গেছে।
ইতিমধ্যে নির্বাচনী ময়দানে রয়েছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে দিনরাত প্রচারনা অব্যাহত রেখেছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে তারা নৌকা ধানের শীষ হাতে নিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চাইছেন। জানা যায়, আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ্তাজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের পক্ষে মনোনয়ন দাখিলের দিনই কেন্দ্রীয় নেতা মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, বদর উদ্দিন কামরান, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট লুতফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমানসহ একাধিক জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে আগামীতে মাঠে নামবেন তারা।
অন্যদিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ময়নুল হক চৌধুরীর পক্ষে মাঠে নামার ঘোষনা দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী ইলিয়াস পত্নী লুনা ইলিয়াস। ইতিমধ্যেই ময়নুল হকের পক্ষে এলাকায় দেখা গেছে সাবেক সাংসদ দিলদার হোসেন সেলিম ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমেদকে। দলীয় একাধিক নেতাকর্মী জানান, ধানের শীষের বিজয় সুনিশ্চিত ও এলাকায় গণজোয়ার সৃষ্টি করতে প্রয়োজনে কেন্দ্রের বড় বড় নেতারা ওসমানীনগরে আসবেন।
আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জগলু চৌধুরী নাগরিক কমিটির ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ওসমানীনগরের অধিকাংশ বড় নেতাদের তার পক্ষে মাঠে দেখা গিয়েছে। সাবেক সভাপতি কবির উদ্দিন আহমেদ, বর্তমান সহসভাপতি আব্দুল হামিদসহ এলাকার অন্যান্য দল ও মতের নেতাদের নিয়ে ২০১ সদস্য বিশিষ্ট নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। জগলু চৌধুরী জানান, স্থানীয় আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা ছাড়াও এলাকার বিভিন্ন দল ও মতের মানুষ আমার সাথে আছেন। যাদের সাথে ওসমানীনগরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের সম্পর্ক। তাদের প্রচারণা ও সহযোগীতা থাকলে আমার বিজয় সুনিশ্চিত।
জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী শিব্বির আহমেদ শিবলীর পক্ষে স্থানীয় নেতাদের সবই আছেন। এলাকায় কেন্দ্রীয় নেতা বর্তমান সাংসদ ইয়াহহিয়া চৌধুরী থাকলেও নির্বাচনী আচরণ বিধির কারণে তার নির্বাচনী প্রচারণায় থাকার সুযোগ নেই। জাতীয় পার্টির উপজেলা পর্যায়ের একাধিক নেতাকর্মীরা জানান, সময়মতো ওসমানীনগরে জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রচারণায় দেখা যাবে।
উপজেলা নির্বাচনে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের পদচারণায় আগামী কয়েকদিন যে ওসমানীনগর সরগরম থাকবে তা অনুমেয়। এলাকায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক উৎসবের আমেজ পরিলক্ষিত হচ্ছে।