ওসমানীনগরে শ্বশুর বাড়ি ডেকে নিয়ে জামাইকে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী ও শ্বাশুড়ী আটক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১:২৮ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ওসমানীনগরে শ্বশুর বাড়ি ডেকে নিয়ে জামাই সাইফুল ইসলাম(২২)কে খুন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত সাইফুল উপজেলার উমরপুর ইউপির আব্দুল্লাহপুর(পুর্বপাড়া) গ্রামের মৃত মজিদ উল্লার ছেলে। শনিবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার সাদীপুর ইউপির রহমতপুর চর গ্রামের শশুর নেছাওর আলীর বাড়ি থেকে সাইফুলের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত সাইফুলের স্ত্রী রাশিদা বেগম ও শ্বাশুড়ী ছায়া বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, নিহত সাইফুলের সাথে রাশিদার দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত বছরের নভেম্বরে সাইফুল রাশিদাকে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে তৃতীয় বিয়ে করে। সাইফুল-রাশিদার বিয়ের পর কিছু দিন সুন্দর ভাবে চলার পর রাশিদার বহুগামী পরকিয়া নিয়ে সন্দেহ করে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে স্থানী ভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠক ও হয়। এ করণে গত মাস দুয়েক পূর্বে রাশিদা তার বাবার বাড়িতে চলে যায়।
গত শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও সালিশ ব্যক্তিরা সাইফুলের উপস্থিতিতে রাশিদার বাবার বাড়িতে বসে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে সালিশানরা ব্যর্থ হন। পরে সাইফুল তার বাড়িতে চলে যায়।
শনিবার সকালে সাইফুল মারা গেছে বলে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে খবর পায় সাইফুলের পরিবারের লোকজন। ঘটনাটি পুলিশকে জানালে শনিবার দুপুর ১টার দিকে সাইফুলের শশুর বাড়ি থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
নিহত সাইফুলের বড় ভাই আজিজুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, তার ভাইয়ের স্ত্রী রাশিদার সাথে রহমতপুরের নছির ও আব্দুল্লাহপুরের কাদির এবং আফজলের সাথে পরকীয়া প্রেম রয়েছে। শুক্রবার রাতে তার ভাই সাইফুলকে রাশিদা ফোন করে ডেকে নিয়ে নছির গংদের সহযোগীতায় তাদের বাড়িতেই সাইফুলকে হত্যা করা হয়। তিনি ভাই হত্যার বিচার দাবী করেন।
ওসমানীনগর থানার ওসি আব্দুল আউয়াল চৌধুরী শ্বশুর বাড়ি থেকে জামাইয়ের লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়না তদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের স্ত্রী ও শ্বাশুড়ীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।