নাগরিকত্ব আইনের কতিপয় ধারা আবার সংশোধন করা হচ্ছে : আইনমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ৭:৫১ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজঃ নাগরিকত্ব আইনের খসড়া চূড়ান্ত হলেও এর কতিপয় ধারা আবার সংশোধন করা হচ্ছে। এ আইনের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকগণ বিশেষ করে প্রবাসী নাগরিকদের যৌক্তিক দাবি বিবেচনা করে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এ কথা জানান।
‘সেন্টার ফর নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশীস’ নামের একটি সংগঠন এ গোলটেবিলের আয়োজন করে। ‘জন-বান্ধব না হলে কিংবা বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের জন্য ক্ষতির কারণ হবে’- এমন কোন আইন বর্তমান সরকারের আমলে করা হবে না বলেও আইনমন্ত্রী মন্তব্য করেন।
আনিসুল হক বলেন, নাগরিকত্ব আইনের যেসব ধারা-উপধারা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সেগুলো যাচাই করে দেখা হচ্ছে। যেসব ধারা বা উপ-ধারা দেশের মানুষের জন্য ক্ষতিকর হবে সেগুলো বাতিল বা সংশোধন বা পরিমার্জন করা হবে।
তিনি বলেন, নাগরিকত্ব আইনের ৫ ধারার উপধারা ২ ও ৩ এবং ৭ ধারার উপধারা ২(ঘ) ও ২(ঙ) বাতিল বা সংশোধন বা পরিমার্জন হবে।
২০০৫ সালে বিচারপতি মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে গঠিত আইন কমিশন বিদ্যমান নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫১ ও ১৯৭২ বাতিল করে নতুন নাগরিকত্ব আইন প্রণয়নের সুপারিশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনের একটি খসড়া প্রেরণ করে। এর প্রেক্ষিতে ২০১১ সালে মন্ত্রিপরিষদ নাগরিকত্ব আইনের একটি খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করে এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে পরামর্শ করে খসড়াটি চূড়ান্ত করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয়।
অত:পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাগরিকত্ব আইনের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিনিময় করে নাগরিকত্ব আইনের একটি খসড়া প্রণয়ন করে ২০১৫ সালের শেষ দিকে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠায়।
আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ একাধিক আন্ত:মন্ত্রণালয় সভা করে নাগরিকত্ব আইনের খসড়াটি সংশোধিত আকারে চূড়ান্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে।
২০১৬ সালে মন্ত্রিপরিষদ আইন মন্ত্রণালয়ের পুনরায় ভেটিং সাপেক্ষে আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদন করে। মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাগরিকত্ব আইনের কয়েকটি বিধান (শাস্তি, অপরাধ এবং বিদেশী শত্রুসহ) খসড়াটি ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে পুনরায় প্রেরণ করে।
আইনটি পুনরায় ভেটিংকালে এ আইনের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নাগরিকগণ বিশেষ করে প্রবাসী নাগরিকগণের যৌক্তিক দাবি বিবেচনা করে কতিপয় সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
গোলটেবিলে বিভিন্ন বক্তার আলোচনা থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
সেন্টার ফর ননরেসিডেন্ট বাংলাদেশী’স চেয়ারপার্সন এম.এস. সেকিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন-প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সি আর আবরার, লন্ডন প্রবাসী ব্যারিস্টার সিয়াম আল দ্বীন, ঢাকাস্থ জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি তোফায়েল সামি, আইনজীবী আবেদ রাজা, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ ও কেরামত উল্যাহ বিপ্লব, আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন, যুক্তরাষ্ট্রের মায়া নেহাল, নারী উদ্যোক্তা প্রীতি চক্রবর্তী, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আব্দুল মাবুদ প্রমুখ