ব্রিটেনের ম্যানচেষ্টারে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় বাঙালীর মৃত্যু
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২:১২ অপরাহ্ণ
লন্ডন অফিসঃ ম্যানচেষ্টারে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় শহিদ তরফদার নামে এক বাঙালীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারী ম্যানচেষ্টারের লংসাইডের ষ্টকপোর্ট রোড়ে দ্রুতগামী একটি কারের ধাক্কায় মারাত্মক আহত হলে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাঁকে মৃত ঘোষনা করেন।
তিনি ম্যানচেষ্টারের লংসাইডের আরমিটেইজ এভেনিউর বাসিন্দা এবং তাঁর দেশের বাড়ী মৌলভীবাজার জেলার মোকাম বাজার নিতেশ্বরে। মৃত্যুকালে শহিদ তরফদার স্ত্রী ছাড়াও এগারো ও নয় বছররের দু ছেলে এবং তিন বছর বয়সী এক মেয়ে রেখে যান। পয়তাল্লিশ বছর বয়সী শহিদ তরফদার ম্যানচেষ্টারের কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব শওগাতুল ইমাম চৌধুরী টুটন,বাংলা কাগজ ও বাংলা টিভির গ্রেটার ম্যানচেষ্টার ব্যুরো প্রধান গাঊছুল ঈমাম চৌধুরী সুজন এবং এটিএন বাংলা ইউকে‘র গ্রেটার ম্যানচেষ্টার প্রতিনিধি ফুরকানুর রহমান চৌধুরী সাগরের ভগ্নিপতি।
জানা যায়,ঘটনার সময় আনুমানিক ৩টা ৪০ মিনিটে ম্যানচেষ্টারের প্রানকেন্দ্র লংসাইডের ষ্টকপোর্ট রোডের ম্যাজা টেইকওয়ে ও মোস্তাক হালাল মীট দোকানের সম্মুখে রাস্তা পেরুবার সময় দ্রুতগামী একটি প্যাজো সিলভার রংঙের প্রাইভেট কার শহিদ তরফদারকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায়।
কারের আঘাতে শহিদ তরফদারের মাথায় প্রচন্ড রক্তক্ষরণ সংঘঠিত হলে প্রায় ১৫ মিনিট পর স্থানীয় পথচারীদের সহযোগীতায় এম্বুলেন্সের মাধ্যমে ম্যানচেষ্টার রয়েল ইনফামারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাঁকে মৃত ঘোষনা করেন। এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত ঘঠনার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রাইভেট কার কিংবা কার চালকের কোনো হদিস এখনো পর্যন্ত পুলিশ বের করতে পারেনি।
ম্যানচেষ্টারের পুলিশ স্থানীয় সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে সংবাদ মাধ্যমসহ সোশাল মিডিয়ায় প্রচার করে ঘঠনাকারীকে সনাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে স্থানীয় সংবাদপত্রের মাধ্যমে ঘঠনাকারীর সন্ধানের জন্য কমিউনিটির সকলের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে এবং কেউ উল্লেখিত প্রাইভেট কার কিংবা কার চালক সম্পর্কে কোনো তথ্য পেয়ে থাকলে তা সরাসরি পুলিশকে জানাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
পুলিশসহ নানা দাপ্তরীক কাজের জন্য মরহুম শহীদ তরফদারে জানাজার নামাজের সময় এখনো জানানো সম্ভব হচ্ছে না। জানাজার নামাজের সময় ও স্থান যথাযথভাবে সকলকে জানানো হবে বলে নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন।