শ্রমিক নিহত : সিলেটে থানার ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ!
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ৩:২২ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলা ধ্বসে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। বুধবার জমা দেওয়া এ প্রতিবেদনে ওই টিলা কেটে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও শ্রমিক নিহতের ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বায়েছ আলমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তসংশ্লিস্ট এক কর্মকর্তা।
সিলেটের পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও প্রতিবেদনে কি আছে তা জানাননি।
পুলিশ সুপার বলেন, আমরা প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করছি। এতে কাউকে দায়ী করা হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ নিয়ে আমি এখন কোনো মন্তব্য করবো না।
গত ২৩ জানুয়ারি শাহ আরেফিন টিলা ধ্বসে পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার পর পুলিশ সুপার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) আবুল হাসনাতকে এই কমিটির প্রধান করা হয়। বুধবার বিকেলে আবুল হাসনাত পুলিশ সুপারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও একটি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। এই কমিটিও শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসন ও পুলিশের গাফিলতি রয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে। গত ৪ জানুয়ারি জেলা প্রশাসকের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত দলের প্রধান সিলেটের অতিরিক্ত জেলা হাকিম (এডিএম) আবু সাফায়াৎ মুহম্মদ শাহেদুল ইসলাম।
সে প্রতিবেদনে টিলা কাটার জন্য ৪৭ ‘পাথরখেকো’কে চিহ্নিত করা হয়। এদের সঙ্গে পরোক্ষভাবে সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে গণমাধ্যমকর্মীদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, থানা-পুলিশের সঙ্গে পাথর ব্যবসায়ীদের সুসম্পর্কের কারণেই ভোলাগঞ্জ ও শাহ আরেফিন টিলায় ‘বোমা মেশিন’ দিয়ে পাথর উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না।
তবে কোম্পানীগঞ্জের ওসি বায়েছ আলম টিলা কাটা ও পাথর উত্তোলনের সাথে তাঁর সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নে সরকারি খাস খতিয়ানের ১৩৭ দশমিক ৫০ একর জায়গায় শাহ আরেফিন টিলা। লালচে, বাদামি ও আঠালো মাটির এ টিলার নিচে রয়েছে বড় বড় পাথর খন্ড। এসব পাথর উত্তোলন করতেই চলে টিলা কাটা।