স্বাবলম্বি হতে স্বল্প নগদ পুঁজি প্রদানের পরিকল্পনা আল ইহসান ওয়েলফেয়ার সোসাইটির
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ৭:৫৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
অপরিকল্পিত দান খয়রাত ভিক্ষাবৃত্তি কে উৎসাহিত করে। আল্লামা গহরপুরী(রাঃ) বলতেন”মাটি কেটে খাও,তবু ও ভিক্ষা করিও না”। আমরা প্রতিদিন মিনিমাম ১০টাকা কোন না কোন ফকির কে দিয়ে থাকি,এর অর্থ দাড়ালো প্রতি মাসে ৩০০টাকা, প্রতি বছরে ৩৬০০টাকা।পাঁচ বছরে ১৮০০০(আটারো হাজার টাকা) আমরা সম্পুর্ন অপরিকল্পিত ভাবে একজন ভিক্ষুক কে দান করে থাকি।এতে করে ভিক্ষাবৃত্তি হ্রাস পাওয়া তো দুরের কথা এই বাজারের সময়ে সময়ে ডিমান্ড আরো বাড়ছে।এখন দু চার টাকা ফকির আর নিতে চায় না।ইয়ারপোর্টের ফকির ভাই বোনেরা তো পাউন্ড ডলার ছাড়া কিছুই বুঝেনা।
উল্লেখিত ১৮০০০হাজার টাকা এক সাথে কোন ফকির কে দিতে পারলে অথবা ছোট খাটো কোন ব্যাবসা,যেমন পানের দোকান,চায়ের টং দোকান ইত্যাদিরর ব্যাবস্হা করে দিলে, অন্ততঃ প্রতি পাঁচ বছরে একজন ফকির ভাই কে কর্ম সংস্হান দেয়ার পাশাপাশি ভিক্ষাবৃত্তি থেকে মুক্ত করা যেত,ভিক্ষুক লাইফের অবসান ঘটানো যেত।আর আমরা সকলেই এই ভাবে পরিকল্পিত দান করলে আস্তে আস্তে ভিক্ষুকের সংখ্যা কমে আসবে বলে মনে করি।
আলহামদুলিল্লাহ,পরিকল্পনা মোতাবেক দান খয়রাত প্রদানের মাধ্যমে ভিক্ষুকদের সংখ্যা কমিয়ে আনতে , পাশাপাশি কাজ করে স্বাভলম্বি হতে স্বল্প নগদ পুঁজি প্রদানের পরিকল্পনা আল ইহসান ওয়েলফেয়ার সোসাইটি গ্রহন করেছে।
এই পরিকল্পনার অংশ হিসাবে আল ইহসান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে কার্য্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।
ইতিপুর্বে জমির আলী নামক একজন কে স্বল্প পুঁজি দিয়ে পানের দোকানের ব্যাবস্হা করে দেয়া হয়েছে।গত কাল গরীব অসহায় রামাজান আলী কে ২০০০০(বিশ হাজার টাকা) সবঝি ব্যাবসা করার জন্য নগদ অনুদান প্রদান করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে,আল ইহসানের উপদেষ্টা বৃটেন প্রবাসি মাওলানা আ ফ ম শুয়াইব এই অনুদান সোসাইটিতে প্রদান করেন।মহান আল্লাহ যেন এই দান কে ক্ববুল করেন,যাদের কে এই অনুদান প্রদান করা হয়েছে তারা যেন আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে স্বচেষ্ট হয়।
আল ইহসান সর্বদা যেন মানব কল্যানে কাজ করে যেতে পারে এই দোযা আপনাদের সকলের নিকট চাই।
অনুদান প্রদান অনুষ্টানে উপস্হিত ছিলেন সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা দয়ামির মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওঃমুশাহিদ দয়ামিরী, পেট্রোল বাংলার সাবেক ইন্জিনিয়ার মার্কিন নাগরিক বশির আহমদ,দয়ামির ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরম আলী,দয়ামির মসজিদ কমিটির স্বাধারন সম্পাদক মশাহিদ আলী,সমাজসেবক জুবায়ের আহমদ শাহিন,সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃআব্দুল ক্বুদ্দুছ,ডি এম ডি জুয়েল আহমদ জুনেদ, লার্নিং পয়েন্ট ইনিষ্টিটিউট এর কম্পিউটার বিভাগের প্রধান সুহেল আহমদ প্রমুখ।