বালাগঞ্জের সর্বত্র আনন্দ উচ্ছ্বাস : জাতীয় দলের ডাকে রাহী এখন ভারতে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ৬:০৩ অপরাহ্ণ
শামীম আহমদ: জাতীয় লিগের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বোলার আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী এবার জাতীয় দলের ডাক পেয়ে ভারতে গেছেন। হঠাৎই সুযোগ পেয়ে ভারত সফরে গেছেন বাংলাদেশ দলের অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে। ২৩বছর বয়সী পেসারকে নেওয়া হয়েছে ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য। বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকায় পৌঁছে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে ভারতের কলকাতা হয়ে হায়দ্রাবাদে পৌঁছেন রাহী। আবু জায়েদ রাহীর বাড়ী বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে। রাহীর পরিবার বর্তমানে সিলেট শহরের মিরা বাজারে বসবাস করছেন। তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আব্দুল খালিক চৌধুরী। ৩ ভাই ১ বোনের মধ্যে রাহী সবার ছোট। রাহী বর্তমানে সিলেট শহরের লিডিং ইউনির্ভাটিতে (স্নাতক) অধ্যয়ণরত আছেন।
রাহীর মেজো ভাই মেহেদী হাসান সিলেট বিভাগের হয়ে খেলেছেন। বাসার সামনে তাঁকে বোলিং করতে-করতেই রাহীর বোলার হয়ে ওঠা। এদিকে জাতীয় দলে ডাক পেয়ে রাহী ভারতে যাওয়ায় খবরে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেছেন বালাগঞ্জ সহ গোটা সিলেটবাসী। গত দু’দিন ধরে এ অঞ্চলের ক্রিকেট ভক্ত অনুরাগীদের মধ্যে রাহীকে নিয়ে সরব আলোচনার ঝড় বইছে। বালাগঞ্জ উপজেলা ক্রিড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আনহার মিয়া বলেন, আমরা আশাবাদি সম্ভাবনাময় তরুন রাহী জাতীয় দলে স্থান করে নিয়ে এলাকার নাম উজ্জল করবে। জানা যায়, জাতীয় লিগের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী রাহী ২ ফেব্রুয়ারী ভারতের ভিসা হাতে পান। ঐ দিন দুপুরে জাতীয় দল ঢাকা ত্যাগ করে। চলতি বছরের ২৮জানুয়ারী শুরু হওয়া বিসিএলের প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই ৫ উইকেট শিকার করেন তিনি। এপরপরই নির্বাচকরা রাহীকে দলে বেড়াতে আগ্রহী হন। আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে দেড়শ’র বেশি উইকেট শিকার করেছেন। গেল বিপিএলে ছিলেন ফর্মে। ঢাকা ডায়নামাইটসের চ্যাম্পিয়ানশীপ অর্জনে রাহীর অবদান ছিলো সর্বাগ্রে। ফাইনালে দলের সেরা ইকোনমিক বোলারের কৃতিত্বও ছিল তার ঝুলিতে। জাতীয় দলে ডাক পেয়ে ভারত সফরে ভালো করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সম্ভাবনাময় এই পেসার।
আবেগ আপ্লুত প্রতিক্রিয়ায় রাহী এলাকবাসী তথা সিলেটবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, সুযোগ পেলে সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো। তিনি বলেন, একেবারে শেষ মুহূর্তে ডাক পেয়েছি। দল ঘোষণার দিন একজন নির্বাচক ফোন দিয়ে আমার কাছে পাসপোর্ট চাইলেন। বললেন, এক ঘণ্টার মধ্যে পাসপোর্ট পাঠাও। তখন মাত্রই বিসিএল খেলে বগুড়া থেকে সিলেটে নেমেছি। দ্রুত পাসপোর্ট পাঠিয়ে দিলাম। তিনি (নির্বাচক) বললেন, যদি ভিসা হয়ে যায় তোমাকে ভারতে যেতে হবে। স্বপ্ন দেখি একদিন টেস্ট খেলব। এটা ঠিক, বাংলাদেশে এখন পেস বোলারদের মধ্যে অনেক প্রতিদ্ব্িদ্বতা। এটা দলের জন্য ভালো। সুযোগ পেতে হলে আপনাকে দুর্দান্ত কিছু করতে হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে রাহী বলেন, আমি আশাবাদী, একদিন সুযোগ পাব।