ছড়া ও খাল রক্ষায় সিলেটে ২শ’ ৩৬ কোটি ৪০ লাখ টাকার সর্ববৃহৎ প্রকল্পের অনুমোদন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ৬:৩৭ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজঃ ছড়া ও খাল রক্ষায় সিলেটের ইতিহাসে পাওয়া গেছে। গত ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় ২শ’ ৩৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এবারই প্রথমবারের মতো শুধুমাত্র ছড়া ও খাল রক্ষায় এতবড় প্রকল্প পেলো সিলেট সিটি কর্পোরেশন। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সিলেটের ছড়া ও খাল রক্ষার পাশাপাশি তা দৃষ্টিনন্দন করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
এই প্রকল্পে সরকার ২০০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয় করবে। প্রকল্পের আওতায় সিলেটের ১৩টি ছড়ার ২৬.৯৬ কিলোমিটার আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ৫ কিলোমিটার ইউটাইপ ড্রেন, সাড়ে তিন কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, ১০ কিলোমিটার ছড়া ও খাল খনন করা হবে। এছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় ৯টি ইকুইপমেন্ট ক্রয় করা হবে যার মধ্যে রয়েছে এমপিএসআইবিআই এস্কাভেটর, উভচর এই এস্কাভেটর দিয়ে নদী খননও করা যাবে। প্রকল্পের আওতাভুক্ত ছড়া ও খাল গুলো হচ্ছে মালনীছড়া, গোয়ালীছড়া, গাভীয়ার খাল, মুগনীছড়া, কালীবাড়ী ছড়া, হলদিছড়া, যুগনীছড়া, ধোপাছড়া, বুবিছড়া, বাবুছড়া, রতœারখাল, জৈন্তার খাল ও বসুর খাল।
২০১৪ সালের শেষের দিকে প্রকল্পটি প্রণয়ন করার পর বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে চলতি ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পটি পাশ হয়। ২০১৭ সালের জানুয়ারী মাসে প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ সমাপ্ত করা হবে-এমনটাই জানিয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল শাখা।
এই প্রকল্পকে একটি যুগান্তকারী প্রকল্প হিসেবে আখ্যায়িত করে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব জানান, ‘এই প্রকল্পের মূল কৃতিত্ব মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এমপির। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কারণেই এই প্রকল্প পেয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।’
এনামুল হাবীব জানান, ‘প্রকল্প প্রস্তুতির শুরু থেকে পাশ হওয়া পর্যন্ত অর্থমন্ত্রী এই প্রকল্পের জন্য সার্বিক দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। একনেকের সভায়ও তিনি এই প্রকল্পের গুরুত্ব তুলে ধরেন। একনেকে’র সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের আওতায় সিলেটের ছড়া ও খাল উদ্ধার করে তা রক্ষায় দ্রুততার সাথে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন।’ এনামুল হাবীব আরও জানান, ‘এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং স্থানীয় সরকার সচিব আবদুল মালেক আন্তরিকভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।’