ওসমানীনগর থেকে সূদুর টেকনাফ : উদ্দেশ্য রোহিঙ্গা মুসলমানদের একনজর দেখা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬, ৭:৫৬ অপরাহ্ণ
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মানুষ মানুষের জন্য সহানুভূতির হাত প্রসারিত করবে, এটাই তো স্বাভাবিক! মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা মজলুম রোহিঙ্গা মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সূদুর টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন ওসমানীনগরের কিছু হৃদয়বান মানুষ। তাদের সফরের উদ্দেশ্য,বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের সাথে সাক্ষাৎ,সহমর্মিতা প্রকাশ,সাধ্যানুযায়ী অর্থনৈতিক সহযোগিতা করা। স্থানীয় দয়ামীর বাজার থেকে টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরের উদ্দেশ্য রওয়ানা হয়েছেন, কাফেলার প্রধান মাওলানা মোশাহিদ দয়ামিরী, মাওলানা মুখতার হোসাইন, মাওলানা হোসাইন আহমদ, মাওলানা আরশদ নোমান,মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, মাওলানা জাহেদ হাসান, ও জনাব মসাহিদ আলী ।
সেনাবাহিনী-পুলিশ ও রাখাইন রাজ্যের বৌদ্ধদের দ্বারা যে গণহত্যা চলছে তা থেকে নারী-শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা কেউই রেহাই পাচ্ছে না। বৌদ্ধ রাখাইনদের টার্গেট হলো, নিরস্ত্র রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীকে চরম নির্যাতনের মাধ্যমে নির্মূল করে দেওয়া। তাই যারা সম্পূর্ণ নিরুপায় হয়ে প্রাণভয়ে একটুখানি আশ্রয়ের আশায় বাংলাদেশের সীমান্তে এসে দাঁড়িয়েছে, তাদেরকে যদি আমরা আশ্রয় না দিয়ে ফিরিয়ে দেই তাহলে তারা যাবে কোথায়? আর যারা আশ্রয় নিয়েছে তাদের একটু খোঁজখবর নেওয়া আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। এটা অনুধাবন করেই অসহায়ের পাশে দাঁড়াতে তাদের টেকনাফ যাত্রা।
কাফেলার প্রধান মাওলানা মোশাহিদ দয়ামীরী সুরমা নিউজ টুয়েন্টি ফোর.কমকে বলেন,মজলুম রোহিঙ্গাদের বিভৎস চেহারাগুলো দেখে কার চোখ না অশ্রুসিক্ত হবে? আপনার সামনে আপনার ভাই-বোন, মা-বাপ, ছেলেমেয়েদের যদি আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে, শরীরের ওপর কামান তুলে মাথার মগজ বের করে ফেলে, চোখের সামনে তাজাদেহ দ্বিখন্ডিত করে ফেলে তখন আপনার কেমন লাগবে? আহ! বার্মার মুসলমানদের সাথে তাই করা হচ্ছে! জাতিসংঘ রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে বিশ্বের সবচেয়ে বর্বর নির্যাতনের শিকার জনগোষ্ঠী হিসেবে অভিহিত করেছে। তাই আমাদের সবার উচিৎ যথাসম্ভব এই মজলুমদের পাশে দাঁড়ানো। এটা আমাদের কর্তব্য ও ঈমানী দায়িত্ব। আমরা সকলের দোয়া চাই যাতে গন্তব্য পৌছে এই নির্যাতিত মানুষ গুলোকে একনজর দেখতে পারি।