লিবিয়ায় অপহৃত ১৩ বাংলাদেশীর মধ্যে ৭ জন উদ্ধার: ৬ জনের ভাগ্য অনিশ্চিত
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ডিসেম্বর ২০১৬, ৮:৫৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
লিবিয়ায় মুক্তিপণের দাবিতে ১৩ জন বাংলাদেশীকে অপহরণের পর ৭ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও, এখনো সন্ত্রাসীদের কবজায় আছে ৬ জন বাংলাদেশী। আর ঐ ৬ জনের অবস্থান এখনো কোম্পানী বা স্থানীয় প্রশাসন নিশ্চিত হতে না পারায়, নতুন করে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, লিবিয়ার ত্রিপলী গ্যারগ্যারেস নামক স্থানে লিবিয়ানা ক্লিনার কোম্পানীতে (শরিকা নাদাপা) কর্মরত বাংলাদেশী আহাম্মদ আলী, আশরাফ হোসেন, জামাল, খলিল, রাশেদ, জুয়েল, হাফিজ, জামান, মঈন, তুহিন, জিয়ারত, আনোয়ার, জুয়েলসহ ১৩ জন বাংলাদেশী গত বুধবার পাশের একটি পানির কোম্পানীতে কাজ যায়। কাজ শেষে বুধবার দুপুর ৩টার দিকে কোম্পানীর একটি গাড়িতে করে বাসায় ফেরার পথে পুলিশের পোশাক পড়া ৪/৫ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল তাদের গতিরোধ করে ১৩ জনকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। একটি গোডাউনে নিয়ে তাদের কাছে থাকা মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। হাফিজের কাছে থাকা ৭’শ ডলার ও আহাম্মদের কাছে থাকা ১২’শ ডলারও ছিনিয়ে নেয় তারা।
এর মধ্যে শুধু আহাম্মদকে ১ দিন পর শুক্রবার দুপুরে ছেড়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। পরে ৬ জন করে দুটি দলে ভাগ করে বাংলাদেশীদের দুটি স্থানে আটকে রাখে সন্ত্রাসীরা। এদিকে আহাম্মদকে ছেড়ে দেয়ার পর তার এবং অপহরণকারীর মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে রোববার কোম্পানীর প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসন ঐ সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান চালায়। এ সময় প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা আস্তনা থেকে পালিয়ে যায়। পরে একটি ঘরে আটক অবস্থায় ৬ বাংলাদেশীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এদিকে ৬ জন উদ্ধার হলেও এখনো অপর ৬ বাংলাদেশী- কুমিল্লার জামাল, ভৈরবের তুহিন, বগুড়ার খলিলুর রহমান, হাফিজ, চট্টগ্রামের আনোয়ার হোসেন ও যশোরের শহারদকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশীরা জানান, তাদের অপহরণ করার পর ৬ জন করে দুটি দলে ভাগ করে তাদের নিয়ে যায় তবে অপর ৬ জনকে কোথায় আটক করে রাখা হয়েছে তারা জানেন না এবং প্রশাসনও নিশ্চিত না হওয়ায় নতুন করে দঃচিন্তায় পড়েছে কোম্পানীর শ্রমিক ও অপহৃতের পরিবার ও স্বজনরা। এখনো স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে এবং ৬ জনের ভাগ্যে কি জুটেছে তা নিশ্চিত নয়।