বিদ্যুৎ দেয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ : বালাগঞ্জের সাবেক ইউপি সদস্য কারাগারে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ ডিসেম্বর ২০১৬, ৬:০৯ অপরাহ্ণ
বিশেষ প্রতিনিধিঃ বালাগঞ্জের এক সাবেক ইউপি সদস্যকে অর্থ আত্মসাতের মামলায় কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে। দীর্ঘ দিন পলাতক থাকার পর গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় সিলেট জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইতে গেলে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো: নজরুল ইসলাম ঐ ইউপি সদস্যের জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের গালিমপুর গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য রনজিত বৈদ্য গালিমপুর গ্রামের লোকজনকে বিদ্যুৎ দেয়ার নামে গ্রামবাসীর কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করেন। এই অভিযোগে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা রনজিতের বিরুদ্ধে সিলেট পল্লি বিদ্যুৎ-১ এর জিএমের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বালাগঞ্জ জোনাল অফিসের (কাশিকাপন) ডিজিএম জহিরুল ইসলাম সরেজমিন তদন্তে গিয়ে জানতে পারেন, ইউপি সদস্য রনজিত বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের নামে সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা আদায় করা সহ মিটার সংযোগের নামে জনপ্রতি আরও ১ হাজার ৮শ টাকা দাবি করেছিলেন। রঞ্জিতের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা বালাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবরে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু এই প্রতিবেদনের কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় চলতি বছরের ৬ অক্টোবর রনজিতের বিরুদ্ধে সিলেট জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সিআর মামলা নং-৬৬। আদালত রনজিতের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন।এদিকে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারির পর রনজিত প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করে গ্রামের সাধারণ মানুষকে প্রতিদিনই নানা ভাবে নাজেহাল করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন বলে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন। এছাড়া গ্রামের একাধিক ব্যাক্তির স্বাক্ষর জাল করে বিদ্যুতের গ্রাহকদের বিরুদ্ধে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঊবর্ধতন কর্মকর্তাদের নিকট পাল্টা অভিযোগ দেন রনজিত। বিষয়টি গ্রামের লোকজন জানতে পেরে স্বাক্ষর জালের অভিযোগে আবারও পাল্টা অভিযোগ করেন। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। একাধিকবার সাংবাদ সম্মেলনও করেন গ্রামবাসী।