বিশ্বনাথে একই রাতে ৩ বাড়িতে ডাকাতি: ২২ লাখ টাকার মালামাল লুট
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ৯:০৭ অপরাহ্ণ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি:
সিলেটের বিশ্বনাথে শুক্রবার দিবাগত একই রাতে ২ প্রবাসীর বাড়ি’সহ ৩টি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের লন্ডন প্রবাসী মাহমদ আলী, একই গ্রামের কাতার প্রবাসী মখলিছ আলীর ও বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নের তাতিকোনা গ্রামের সানাই মিয়ার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনাগুলো সংগঠিত।
ডাকাতি সংগঠিত ৩টি বাড়ি থেকে ডাকাত দল ‘২৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, আমেরিকান ২০ ডলার, ৩৭টি মোবাইল সেট, ২টি ক্যামেরা, ১টি ল্যাপটপ’সহ প্রায় ২২ লাখ টাকার মালামাল লুঠ করে নিয়ে যায়। ডাকাত দলের হামলায় গুরুত্বর আহত হয়েছেন ধারাভাষ্যকার আনোয়ার হোসেন’র স্ত্রী শাকিলা বেগম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে ২০/২৫ জনের একটি মুখোশধারী ডাকাতদল একই সময়ে হানাদেয় কাতার প্রবাসী মখলিছ আলী ও পার্শ্ববর্তী লন্ডন প্রবাসী মাহমদ আলীর বাড়িতে। ডাকাত দল বাড়ির কলাপসিবল গেইটের তালা ও দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মালামাল লুঠ করে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে একই রাতে উপজেলার তাতিকোনা গ্রামের ধারাভাষ্যকার আনোয়ার হোসেন’র বাড়িতে হানাদেয় ডাকাত দল। এসময় ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে মালামাল লুঠপাট করে নিয়ে যায়। ডাকাত দলের হামলায় গুরুত্বর আহত আনোয়ার মিয়ার স্ত্রী শাকিলা বেগেম’কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রবাসী মখলিছ আলীর পুত্র ছাব্বির আহমদ জানান, ডাকাত দল তার ঘরে থাকা ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ২ লাখ টাকা, আমেরিকান ২০ ডলার, ১১টি মোবাইল সেট, ২টি ডিজিটাল ক্যামেরা লুঠ করে নিয়ে গেছে।
প্রবাসী মাহমদ আলীর ভাই আহমদ আলী জানান, ডাকাত দল তার ঘরে থাকা ৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৫৫ হাজার টাকা, ১ টি ল্যাপটপ, ৬টি মোবাইল সেট লুঠ করে নিয়ে গেছে যায়।
ধারাভাষ্যকার আনোয়ার হোসেন বলেন, ডাকাত দল তার ঘরে থাকা ৫ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ২০ হাজার টাকা, ২০টি মোবাইল সেট’সহ প্রায় ২ লাখ টাকা।
খাজাঞ্চী ইউনিয়নে সংগঠিত দুটি ডাকাতির ঘটনাই সাজানো। প্রবাসীদের কাছ থেকে টাকা আনানোর জন্য ডাকাতির ঘটনাগুলো সাজানো হয় দাবি করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম পিপিএম বলেন, তাতিকোনার ডাকাতির ঘটনাটি সত্য। অভিযোগ ফেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান পিপিএম বলেন, বিশেষটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। পুলিশী টহল জোরদার করার ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সিলেটের ডিআইজি কামরুল আহসান বলেন, তিনটি ডাকাতির ঘটনা বিশেষ গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। এঘটনাগুলোর সাথে জড়িদের খোঁজে বের করার ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।