রাগিব আলীর মুক্তির দাবীতে কামাল বাজারে ২৪ গ্রামবাসীর মানববন্ধন
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ নভেম্বর ২০১৬, ৬:২৯ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজঃ রাগীব আলীকে মুক্তি দেয়ার আবেদন জানালেন বৃহত্তর কামালবাজার এলাকাবাসী। বুধবার দুপুরে বিশাল মানববন্ধন করে তারা সমাজ হিতৈষী শিক্ষানুরাগী এই উন্নয়নকামী ব্যক্তির মুক্তির আবেদন জানান। এতে বিশ্বনাথ উপজেলার ২৪টি গ্রামের সহস্রাধিক নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
বৃহত্তর কামালবাজার বাসীর ব্যনারে কামালবাজারে আয়োজিত মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট মুরব্বী হাজী আব্দুল কুদ্দুছ। সমাজসেবী মুহিবুর রহমান ও আব্দুল হাছিবের যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন অলংকারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল, খাজাঞ্চি ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দিন, বিশিষ্ট মুরব্বী সুলেমান খান, শামসুল হক, গোলাম মোস্তফা, হাজী সমুজ আলী, হাজী আজিজুর রহমান, হাজী কামাল আহমদ শিশু, আব্দুল মান্নান, এনামুল হক মাক্কু, হাজী সোনাহর আলী, সফিক মিয়া, আমিরুল ইসলাম সারো, আমির উদ্দিন মেম্বার, আনোয়ার আলী, আবুল কালাম, ফারুক আহমদ, আব্দুর রকিব, কাওছার মিয়া, আলী আহমদ সুহেল। উপস্থিত ছিলেন দানবীর এম এ হাসিম, আব্দুল কাইয়ুম মুকুল, ভুলাই খান, হাজী ময়না মিয়া, মকব্বির আলী মেম্বার, জুনেদ আহমদ, এম এ মনাফ, নুরুজ্জামান, হাজী গুলজার মিয়া, ফজল মিয়া, আজাদ মিয়া, খলিল আহমদ, আমিনুল ইসলাম, আহমদ, জুয়েল আহমদ চান, আব্দুল্লাহ, খালেদ আহমদ, নিজাম উদ্দিন, চেরাগ আলী, আব্দুল হক, আজিজ, মানিক, তছির আলী মেম্বার, আব্দুল জব্বার, হারুন মিয়া, আরব আলী, নানু মিয়া, হাজী নুনু মিয়া, রাসেল, সাইফুর, মানিক মিয়া, মাসুক আহমদ, শাহীন আহমদ সাজন, এমরান আহমদ, শিব্বির আহমদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দানবীর ড. রাগীব আলী নিজেও বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ক্রিড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক- বীমা, গণমাধ্যম থেকে স্কুল মাদরাসাসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। এতসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় তিনি নিজে প্রতারিত হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। একই সাথে কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়। আইনও আদালত মানুষের জন্য তৈরী। বক্তারা বলেন, সেই আইন ও আদালত দানবীর ড. রাগীব আলীর অবদান ও বয়স বিবেচনায় সহনাভুতিশীল হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
বক্তারা আরো বলেন, দানবীর ড. রাগীব আলীর কর্মের বিস্তৃতি ও সমাজের জন্য কল্যাণমুলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। দেশের সবকটা অঞ্চলে তারঁ অবদান রয়েছে। বিশেষ করে একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলকে কিভাবে স্যাটেলাইট সিটিতে রুপান্তরিত করা যায় কামালবাজার তথা রাগীবনগরে আসলেই এর প্রমাণ মিলবে। বক্তারা দানবীর ড. রাগীব আলীর বয়স ও সমাজের প্রয়োজন বিবেচনায় তাঁর মুক্তির আবেদন জানান। বক্তারা রাগীব আলীর অবদানের অবমুল্যায়ন হলে সমাজে ভালো কাজ করার স্পৃহা নষ্ট হবে বলে মন্তব্য করেন। বক্তারা দানবীর ড. রাগীব আলীর পুত্র আব্দুল হাইর ও মুক্তি দাবি করেন।
সকাল থেকে বিশ্বনাথ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ব্যনার ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশ নিতে নারী পুরুষ ছুটে আসে। মানবন্ধনে অংশগ্রহণকারী গ্রামগুলো হচ্ছে নভাগ, তালিবপুর, ধরগাও, কাড়ারপার, শষ্যউড়া, বেটুয়ার মুখ, রাউতের গ্ওা, মিরগাও, ছোট দিঘলী, ছোট খুরমা, পেছি খুরমা, লালটেক, পেশকার গাও, বটরগাও, রামপুর, হরিপুর, কৃসনপুর, পুরান গাও, রাগীব রাবেয়া স্পোর্টস একাডেমী, কামালবাজার ব্যবসায়ী সমিতি, ক্রোড়ী গ্রাম, মাধবপুর, হইদপুর, শহীদ সোলেমান নগর, গোফতর গাও, বসন্তরাগাওসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশ গ্রহণ করেন।