বিশ্বনাথে প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে অসহায় পিতার মানবেতর জীবন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ নভেম্বর ২০১৬, ১০:৪৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ১নং লামাকাজি ইউনিয়নের ভূরকি গ্রামের নুরউদ্দিন‘র প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। জন্মের শুরু থেকেই শিশুটি প্রতিবন্ধী।
নুরউদ্দিন জানান, তার বড় ছেলে মোজাহিদ আহমদ সুস্থ-সবল শিশু হিসাবে জন্মগ্রহণ করে। অন্যান্য শিশুদের মত তারও দিনে দিনে শারীরীক কাঠামো বাড়তে থাকে। যখন মোজাহিদ জন্মের ২-৩ মাস বয়সে পদার্পন করে, তখনই শুরু তার শারীরীক সমস্যা। প্রথমে মোজাহিদের মাতায় অংশ ফুলে শক্ত হয়ে মারাত্মক ব্যাথা হয়। ধীরে ধীরে মাতাটি চিকন হয়ে আসছে । শেষ পর্যন্ত মোজাহিদের ২বছর ৬ বয়স চলছে। ডাক্তাররা তার রোগ নির্ণয় করতে অনেক সময় লেগেছে শেষ মুহুর্তে সিলেট সকারী এম.এ.জি.ওসমানী হাসপাতালে চিগিৎসাধীন রয়েছে।
টাকার অভাবে নুরউদ্দিন তার ছেলেকে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন না। যেটুকু সহায় সম্বল ছিল তা দিয়ে ছেলেকে চিকিৎসা করানোর পর বর্তমানে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তিনি। প্রতিদিন তাকে অর্ধাহারে অনাহারে থাকতে হয় এই প্রতিবন্ধী সন্তানদের নিয়ে। তিনি তাদের মুখে তিন বেলা খাবার দিতে পারছেন না। নুর উদ্দিন তার সন্তানদের চিকিৎসার জন্য হৃদয়বান ব্যক্তিদের সাহায্য ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আকুতি জানান। অসহায় গরীব নুর উদ্দিনের ছেলেদের নিয়ে চোখে অন্ধকার দেখছেন। যদি কোন হৃদয়বান ব্যক্তি সাহায্য করতে চান তাহলে এই বিকাশ একাউন্টে ০১৭৬০-১৩৬৮৯৬ ,অথবা ব্যাংক একাউন্ট নং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড সিলেট শাখা-মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাব নং-১২৩৩৬ টাকা পাঠাতে পারেন।
সিলেট এম.এ.জি.ওসমানী হাসপাতালের মেডিকেল শিশু বিকাশ কেন্দ্র অফিসার ডা. শ্যামজয় দাস বলেন, এধরনের রোগীকে ডাক্তারদের ভাষায় শর্ট মেমোরি লস অথবা অটিজম বলে থাকে। তবে শিশু রোগীদের বেলায় নিয়মিত ঔষধ ও বেশী করে শরীর চর্চা করালে আস্তে আস্তে এই ধরনের রোগ কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে অনেক টাকা ব্যয়বহুল এবং অনেক সময়েরও প্রয়োজন।-বিজ্ঞপ্তি