কড়া নাড়ছে শীত : প্রস্তুতি এখনই
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ নভেম্বর ২০১৬, ৯:৫০ অপরাহ্ণ
লাইফস্টাইল ডেস্ক:
শীত আসতে আর খুব বেশি দিন দেরি নেই। দরজায় কড়া নাড়ছে। এখনই ভোররাতের দিকে একটু একটু শীত অনুভূত হচ্ছে। তাই শীত আসার আগেই আমাদের হতে হবে সতর্ক। শীতের পূর্ব প্রস্তুতি হিসাবে যেসব বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, আগের বছরের ব্যবহৃত শীতের পোশাকগুলোর যথাযথ যত্ন। শীতের সময় পার হয়ে গেলেই দীর্ঘ দিনের জন্য এই পোশাকগুলো পড়ে থাকে আলমারিতে। এই দীর্ঘসময় পড়ে থাকা পোশাকগুলোকে ভালো রাখতে নিতে হবে কিছু বিশেষযত্ন।
শীতের পোশাক এমন জায়গায় রাখতে হবে যেখানে কম বাতাস প্রবেশ করে। ভাজ না করে ঝুলিয়ে রাখলে কাপড় ভালো থাকে। অনেক দিন তুলে রাখা কাপড়ে অনেক সময় ফাঙ্গাস পড়ে আবার ভ্যাপসা গন্ধ হয়। তাই নিয়মিত উলের বা ফ্লানেলের পোশাক রোদে দিতে হবে। এতে পোশাকের ভ্যাপসা গন্ধ দূর হয় আর পোকামাকড়ও আক্রমন করে না।
শীতের কাপড় ধোয়ার জন্য অল্প পানিতে কম ক্ষারযুক্ত সাবান, ডিটারজেন্ট পাউডার বা শ্যাম্পু ব্যবহার করা ভালো। এতে কখনও ব্রাশ ব্যবহার করা উচিত নয়। ব্রাশ ব্যবহার করলে উলের পোশাকের আকৃতি নষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকে। ওয়াশিং মেশিনের বদলে এধরনের কাপড় হাতে পরিষ্কার করাই ভালো।
উলের কাপড় পরে পারফিউম, মেকআপ বা হেয়ার স্প্রে ব্যবহার না করাই ভালো। এর ফলে কাপড়ে দাগ বসে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
ইস্ত্রি করার সময় সোয়েটার বা শাল উল্টো করে ইস্ত্রি করা উচিত। স্টিম দিয়ে ইস্ত্রি করা ভালো, এতে গরম আয়রন উলে লাগে না।
মথ পোকা থেকে উলের কাপড় সংরক্ষণে নিমের পাতা শুকিয়ে গুড়া করে আলমারিতে রাখতে পারেন। এছাড়াও শীতের কাপড় সংরক্ষণের সময় আলমারিতে ন্যাপথোলিন রাখা উচিত।
পশমি কাপড় হতে রঙ উঠার আশঙ্কা থাকলে ধোয়ার সময় রিঠা পানি ব্যবহার করতে পারেন। সাদা কাপড় হলে ধোয়ার সময় পানিতে লেবুর রস এবং রঙিন কাপড়ের বেলায় ভিনেগার মিশিয়ে নিতে পারেন। উল বা পশমি কাপড় বেশি ময়লা হলেও ১ ঘণ্টার বেশি সময় ভিজিয়ে রাখতে হয় না। এতে কাপড়ের সুতা নরম হয়ে যায়।
শীতের পোশাকের পাশাপাশি লেপ, তোশক, কম্বল, চাদর ইত্যাদিও রোদে দিতে হবে। রোদ থেকে তোলার পর তা ঝেড়ে ঘরে রাখতে হবে। আর ধুলাবালি থেকে রক্ষা পাবার জন্য কাপড়ের কভার ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো।
সোফার কভার, পর্দা শীতের আগেই একবার ধুয়ে ফেলা উচিত। তাছাড়া শীতকালে পর্দা বেশি নোংরা হয়, তাই প্রতিদিন একবার করে পর্দা ঝাড়া উচিত।
শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে, ঘরের মেঝেতে শতরঞ্জি অথবা ফ্লোর ম্যাট বিছিয়ে নিতে পারেন।