ওসমানীনগরে চাঞ্চল্যকর রিপন হত্যা : আদালতে যা বললো ঘাতক সুমন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ নভেম্বর ২০১৬, ১:৪৩ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
ওসমানীনগরে রিপন মিয়া (২০) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার গত সোমবার (৩১ অক্টোবর) উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রিপন ছিলো উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের সাদীপুর পশ্চিমহাটি গ্রামের সাকির মিয়ার ছেলে।
সকাল দশটার দিকে সাদীপুরের সুতারখাল নদী থেকে রিপনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
উপজেলার সাদীপুর ইউপির কারিকোনা গ্রামের উত্তর পাশে সুতারখাল নদীতে একটি লাশ ভাসছে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশের ধারণা ছিল নারীঘটিত কারণে তাকে খুন করা হয়েছে।
অবশেষে সেই ধারণাই ঠিক হলো। হত্যার বর্ণনাতে তা উঠে আসে। ওসমানীনগরের সাদীপুর ইউপির কারিকোনা গ্রামের পুতুল দাসের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে শিপা রানী দাসের সাথে অসম প্রেমের কারণে খুন করা হয় রিপন মিয়াকে। ছোট বোনের সাথে এমন অসম প্রেমের কারনে ঘুমন্ত অবস্থায় রিপনকে নৌকায় থাকা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়। পরে তার গলাটিপে মৃত্যু নিশ্চিত করে সুমন। মারা যাওয়ার পর রিপনের গলায় পাথর বেধে লাশ নদীতে ফেলে দেয় সুমন ও তার সহযোগি শিবু দাস ও গৌরাঙ্গ দাস।
বুধবার সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক নজরুল ইসলামের আদালতে এভাবে হত্যার বর্ণনা দেয় ঘাতক সুমন দাস। এর আগে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ ঘাতক সুমন দাসকে গ্রেফতার করে।
আদালতে জবানবন্দী শেষে রিপন হত্যা মামলার প্রধান আসামী সুমন দাসসহ এজহারভুক্ত আসামী সুমনের পিতা পুতুল দাস, মা কইল্লা রানী দাস ও তার বোন শিপা রানী দাসকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।
এদিকে, হত্যাকান্ডের ঘটনায় আদালতে দেয়া জবানবন্দীর পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাতক সুমনের সহযোগি শিবু দাস ও গৌরাঙ্গ দাসকে গ্রেফতার করে। বুধবার সন্ধ্যায় ওসমানীনগর উপজেলার সাদীপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর রাতে নিখোঁজের পর গত সোমবার উপজেলার সাদীপুর ইউপির সাদীপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের সাকির উল্লার ছেলে রিপন মিয়ার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে ওসমানীনগর থানা পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল করে পুলিশ নিশ্চিত হয় রিপনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত রিপনের বাবা সাকির মিয়া মঙ্গলবার উপজেলার সাদীপুর ইউপির কারিকোনা গ্রামের পুতুল দাস তার স্ত্রী কইল্লা রানী দাস, ছেলে সুমন দাস ও মেয়ে শিপা রানী দাসের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো তিনজনকে আসামী করে ওসমানীনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।