ওসমানীনগরের চাঞ্চল্যকর রিপন হত্যাকান্ড, নেপথ্যে প্রেম
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ নভেম্বর ২০১৬, ১০:১৬ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেটের ওসমানীনগরের সাদীপুর ইউপির কারিকোনা গ্রামের পুতুল দাসের মেয়ে শিপা রানী দাসের সাথে অসম প্রেমের কারণে খুন করা হয় রিপন মিয়াকে। মঙ্গলবার রাতে ওসমানীনগর থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর বুধবার সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক নজরুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করে শিপা রানীর বড় ভাই ঘাতক সুমন দাস। বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত আদালত সুমনের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। আদালত রিপন হত্যা মামলার প্রদান আসামী সুমন দাসের জবানবন্দি রেকর্ডের পর সুমন ও এ হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত অন্য আসামী সুমনের পিতা পুতুল দাস মা কইল্লা রানী দাস এবং তার বোন শিফা রানী দাসকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের বরাত দিয়ে সুমনের স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই রমা প্রসাদ। উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর রাতে নিখোঁজের পর ৩১ অক্টোর সোমবার সকালে উপজেলার সাদীপুর ইউপির সাদীপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের সাকির উল্লার ছেলে রিপন মিয়ার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে ওসমানীনগর থানা পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল করে পুলিশ নিশ্চিত হয় রিপনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত রিপনের বাবা সাকির মিয়া গত পহেলা নভেম্বর উপজেলার সাদীপুর ইউপির কারিকোনা গ্রামের পুতুল দাস তার স্ত্রী কইল্লা রানী দাস, ছেলে সুমন দাস ও মেয়ে শিফা রানী দাসের নাম উল্লেখ সহ সাতজন এবং অজ্ঞাতনামা আরো দুই তিনজনকে আসামী করে ওসমানীনগর থানায় একটি হত্যা(মামলা নং-০১) দায়ের করেন। লাশ উদ্ধারের দিন সুমনের বাবা মা এবং বোনকে তাদের বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে।