পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত : দিশেহারা প্রবাসী বাংলাদেশীরা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ অক্টোবর ২০১৬, ৪:২৩ পূর্বাহ্ণ
লন্ডন অফিসঃ গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহের শেষ ওয়ার্কিং ডে’র শুরুতে পাউন্ডের দরপতন এক সাথে ৬% কমে গেছে। যার ফলে ডলারের বিপরীতে ১.১৮৪১ হয়ে গেছে।ইউরোপিয় ইউনিয়নে থাকা না থাকা নিয়ে গত জুন মাসের রেফারেন্ডামের পর ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশী কমিউনিটি। দেশে পরিবার পরিজনদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা বাংলাদেশীদের অনেকের মাথায় হাত।
বিশ্ব বাজারে পাউন্ডের এমন আচমকা পতনে ব্রিটেনের চ্যান্সেলর ফিলিপ হ্যামন্ড সতর্ক করে বলেছেন এর চাইতে আরো ভয়াবহ অবস্থার সৃস্টি হতে পারে। সরকার দেশবাসীকে হতাশ না হয়ে ধৈর্য ধরে শান্ত থাকার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ব্রিটিশ অর্থনীতি ঐতিহ্যগত ভাবে অনেক মজবুদ অবস্থানে রয়েছে। মার্কেট এনালিষ্টরা ভাবছেন, এর ফলে অল্প সময়ের ভিতরে অনেকেই স্টার্লিং বিক্রি করে দেয়ার জন্যে উঠে পড়ে লাগবেন অনেকে, ফলে আরো দরপতনের আশংকায় ব্রেক্সিট নেগোসিয়েশন যতো কঠোর সিগন্যাল আসবে- পাউন্ডের পতন ততো আরো গভীর হতে পারে।
হ্যামন্ড বলেছেন, মার্কেট আপ এন্ড ডাউন করবে এটা স্বাভাবিক। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্ণর ও এই বিষয়টি সকালে ব্যাখ্যা করেছেন। মার্কেট পতনে টেকনিক্যাল ফ্যাক্টরের ভুমিকার কথা উল্লেখ করেছেন।
বিশ্ব আর্থিক মন্দার পরে পাউন্ড এই সপ্তাহান্তে অধঃগতির দিকে যায়- যা এই সপ্তাহে ৪ পার্সেন্ট লসের রেকর্ড গড়ে।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের কাছে ফ্রান্সিস হল্যান্ড বলেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের জন্য ব্রিটেনকে তার কনসিকোয়েন্স মোকাবেলা করতে হবে, ইইউ ত্যাগে ব্রিটেনের বিরুশক্ত ভুমিকা নিবে বলেও উল্লেখ করেছেন।
।