দক্ষিণ কোরিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ অক্টোবর ২০১৬, ১০:৩৭ অপরাহ্ণ
প্রবাস ডেস্ক:
কোরিয়ায় বসবাসরত অবৈধ/মেয়াদ উত্তীর্ণ অভিবাসীদের স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত যাওয়ার বিষয়টি উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে ০৬ মাসের জন্য সাধারন ক্ষমা ও বিশেষ সুবিধা দেয়ার ঘোষনা করা হয়েছিল বিচার মন্ত্রণালয় থেকে (কোরিয়া ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এটি কার্যকর করছে) এবং এর সময়সীমা ছিল ০১ এপিল ২০১৬ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ (৬ মাস) পর্যন্ত। কোরিয়া কর্তৃপক্ষ, সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, কোরিয়ায় প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশী সামাজিক সংগঠনসমূহ, অনলাইন মিডিয়া এবং সচেতন কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকরা বিষয়টি বিভিন্নভাবে প্রচার করে আসছে।
অধিক সংখ্যক অবৈধ/মেয়াদ উত্তীর্ণ অভিবাসীর স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনের সুয়োগ নেয়ার জন্য (বাংলাদেশীদের সংখ্যা খুব বেশী আশাব্যঞ্জক নয়) উংসাহিত হয়ে কোরিয়ার বিচার মন্ত্রণালয় এ সুযোগটি ৩১ শে ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। কোরিয়ায় বসবাসরত অবৈধ/মেয়াদ উত্তীর্ণ বাংলাদেশী অভিবাসীদের এ সুযোগ গ্রহণ করে বৈধভাবে পুনরায় কোরিয়ায় প্রবেশ করার/প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ নেয়ার জন্য আবারো অনুরোধ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস।
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য নিচে দেয়া হলো:
সময়:
২০১৬ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত
স্থান (যেখানে রিপোর্ট করতে হবে):
সকল বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন অফিস (মূলত: ইনচন ও কীমহে)।
স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন করার ক্ষেত্রে ঘোষিত সুবিধাসমূহ:
১। পুনরায় কোরিয়া আসার উপর কোন সময়সীমার নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। (আগে ২ বছরের মধ্যে ঢুকতে পারবে না এমন নিয়ম ছিল)
২। অবৈধ অভিবাসী এবং তাদের নিয়োগকর্তা কাউকেই শাস্তির আওতায় আনা হবে না।
৩। আটক হওয়া ছাড়াই মুক্তভাবে দেশে ফেরত যাওয়া যাবে ।
৪। স্ব স্ব দেশে অবস্থিত কোরীয় দূতাবাস থেকে ভিসা নিয়ে আবার কোরিয়ায় প্রবেশ করা যাবে।
স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন করার এই বিশেষ সুবিধা গ্রহন না করে আটক হলে:
১। আটকৃতদের অবিলম্বে দেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং পরবর্তী ৫ বছর কোরিয়া ফিরতে পারবে না (অবৈধভাবে অবস্থানকাল যাই হোক না কেন)।
২। অপরাধের জন্য বর্ধিত শাস্তি ও বর্ধিত জরিমানা পরিশোধ করতে হবে।
স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন করার জন্য যা যা করতে হবে:
১। বিমানের টিকিট এবং বৈধ পাসপোর্ট/ভ্রমণ ডকুমেন্টসহ স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন এর বিষয়টি, দেশে প্রত্যাবর্তনের দিন সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশন অফিসে (বিমানবন্দরে) রিপোর্ট করতে হবে ।
২। পাসপোর্টে যদি তথ্যগত বিভ্রান্তি থাকে বা কেউ অবৈধ পথে কোরিয়া প্রবেশ করে থাকলে, ইমিগ্রেশন এর তথ্য যাচাই করতে বেশি সময় প্রয়োজন বিধায় এয়ার টিকিট করার আগে সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশন অফিস থেকে বিভিন্ন কাগজপত্র যাচাই করে নিতে হবে।
বিস্তারিত জানতে: ১৩৪৫ অথবা বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন অফিসে ফোন করুন।
ইনচন: ০৩২-৭৪০-৭৩৯১ কীমহে:০৫১-৯৭৯-১৩০০
Website: immigration.go.kr
সূত্র: বাংলাদেশ দূতাবাস, সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া।