জিয়া পরিবারের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়েই একের পর এক মামলা : যুক্তরাজ্য সেচ্ছাসেবক দল
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ অক্টোবর ২০১৬, ১০:৫৩ অপরাহ্ণ
সরকার একের পর এক ষড়যন্ত্র করে দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করছে। কোন ষড়যন্ত্রই আমাদের মহানায়কের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করা যাবেনা। তারেক রহমান নামটাই এই সরকারের কাছে একটি আতংক। তাই তারা নানা ষড়যন্ত্র করে দেশনায়কের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলায় জড়াচ্ছে। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর বিরুদ্ধে সরকারের ষড়যন্ত্র মুলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে যুক্তরাজ্য সেচ্ছাসেবক দল এক বিশাল প্রতিবাদ সভায় বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। যুক্তরাজ্য সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমেদ শাহীন এর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী মোঃ আবুল হোসেন এর পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারন সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির উপদেষ্টা মুজিবুর রহমান মুজিব,সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পারভেজ মল্লিক, যুগ্ন সম্পাদক ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ, কামাল উদ্দীন ,তাজ উদ্দীন সহ বিএনপির অন্যতম নেতা সাদিক মিয়া, নাসিম আহমেদ চৌধুরী,জাতীয়তা বাদী ওলামাদল কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাওলানা শামীম আহমেদ , বিএনপি নেতা আ: রব মিয়া,শেখ মিজান ,আলাউদ্দীন ৷ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি শরীফুল ইসলাম .মুস্তাফিজুর রহমান ,ডালিয়া লাকুরিয়া,শাহজামাল,লাহিন আহমদ,যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আজিম উদ্দীন , কামাল মিয়া , সোলায়মান খাঁন, রেদোয়ান আহমেদ ,অলিউর রহমান ফাহিম,সহ কোষাদক্ষ শেখ সাদেক আহমেদ, পাঠাগার সম্পাদক হারুন অর রশিদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান , সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, সহ – প্রকাশনা সম্পাদক ফিরোজ আলম, আরো উপস্তিত ছিলেন যুবদল নেতা লাহিন আহমেদ,কবির আহমেদ, আকলুছ মিয়া , এরশাদ মিয়া , কবির মিয়া , দ্বারা মিয়া .শাহীন মিয়া , হায়দার আলী , সেবুল মিয়া , নাদের আহমেদ , আলা উদ্দিন প্রমূখ ৷ প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন দেশনায়ক যখন প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন- তিনি কোন অন্যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত নন এবং ফ্যাসিবাদী ও ক্ষমতালোভী সরকার কর্তৃক নিপিড়ীত, নির্যাতিত হয়ে, বহু কণ্ঠাকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করে দৃঢ়চেতা মনোভাব ও গতিশীল নেতৃত্ব নিয়ে এগিয়ে চলছেন এবং আগামী কিছু দিনের ভিতরেই বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখে ফ্যাসিবাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আর দেশের লক্ষ কোটি নেতাকর্মী তাকিয়ে ছিল, তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে বরণ করে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার সংকল্প নিয়ে। ঠিক সেই মুহুর্তেই দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে, দলীয় বিচারক সাধারণ মানুষ আজ স্থম্ভিত! শুধু স্থম্ভিত ই নয়, মানুষ রীতিমত হতাশ। তাদের মনের মতন দলীয় বিচারক বসিয়ে সাজানো মামলায় সাজানো গ্রেফতার জারি। এই সাজানো গ্রেফতাররের মূলেই তাহার জনপ্রিয়তা, তাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা। এই সাজানো নগ্ন রায়ই প্রমাণ করে, একজন তারেক রহমানের প্রতি ফ্যাসিস্ট সরকারের কি পরিমাণ ভয়? কি পরিমাণ আতঙ্ক? তারেক রহমান ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে যেন এক জলন্ত অগ্নিপিন্ড। এখন প্রশ্ন তাহার অপরাধ কি? আজ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তাহার অপরাধ হলো, তাহার জনপ্রিয়তা ও জিয়া পরিবারের জনপ্রিয়তা। কারণ, বাংলাদেশের ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করলে সহজেই দৃশ্যায়িত হয়। যতবারই বাংলাদেশ সংকটে পড়েছে, ততবারই বিএনপির মাধ্যমে অর্থাৎ জিয়া পরিবারের মাধ্যমে সংকট উত্তীর্ণ হয়েছে। জিয়া পরিবার মানেই হলো, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদের প্রবর্তন, স্বাধীনতার ঘোষণা, রণাঙ্গণে যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত সার্বভৌম বাংলাদেশ, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, এখনও আবার গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া। এটাই আজ দিনের আলোর মত পরিষ্কার। এটা-ই সত্য। তাই আজ বিএনপি এবং জিয়া পরিবারের জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়েই, বিএনপি এবং জিয়া পরিবার-কে নিশ্চিহ্ন করার অভিপ্রায়ে, বিভিন্ন হীন চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে আজকের ফ্যাসিবাদী সরকার। কিন্তুু ইতিহাস বলে, ক্ষমতা লিপ্সু কুচক্রী মহলদের চক্রান্ত কখনই সফল হয় না। চক্রান্ত কারীদের পরাজয় অনিবার্য এবং সত্যের বিজয় হবে-ই হবে। বিজ্ঞপ্তি