ওসমানীনগরে খুন হওয়া সেই ইমামের আলোচিত ফেসবুক স্ট্যাটাস !
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১১:৩৭ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
কেন একজন ইমামকে খুন করা হল? মসজিদের ইমাম যার পেছনে হাজার হাজার মুসল্লি নামাজ পড়ে তাকে কি কারণে খুন করা হল ? এ নিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন। খুনের কারন সম্পর্কে পুলিশ এখনো কিছু বলতে পারছেনা। তবে এলাকাবাসীসহ অনেকের ধারণা ফেসবুকে লেখালেখির কারনেই তাকে খুন করা হতে পারে। তবে প্রকৃত বিষয়টি পুলিশের তদন্তেই বেরিয়ে আসবে বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী।
গত বৃহস্পতিবার ওসমানীনগর উপজেলার দক্ষিণ মোবারকপুর(আন্দারকোনা) মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমানকে দুর্বৃত্তরা খুন করে হাত পা বেঁধে তার নিজ শয়ন কক্ষে লাশ ঝুলিয়ে রাখে। ভোরে মুসল্লিরা ইমামকে ডাকতে গিয়ে তার ঘরের দরজা খোলা ও ইমামের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।
এব্যপারে ফেসবুকেও লেখালেখি চলছে। এর কারণ হিসেবে ড. তুহিন মালিক তার ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, নিহত ইমাম আব্দুর রহমান মোগলাবাজারী ফেসবুকের অত্যন্ত পরিচিত মুখ ছিলেন। তার ফেসবুকে (Abdur Rahman) গত এক সপ্তাহের পোষ্টগুলোই কি তার হত্যার কারন ? এমন কথাও আলোচিত হচ্ছে। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, “মসজিদে ইমামের হাত-পা বেঁধে ফাঁসি দিয়ে দেয়া হলো, অথচ আমরা সবাই নিশ্চুপ !
সিলেটের ওসমানীনগরে মসজিদ থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মসজিদের ইমাম হযরত মাওলানা আব্দুর রহমানের লাশ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। ভোরে মুসল্লিরা মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ইমাম সাহেবকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। নিহত ইমামের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। হাত-পা বেঁধে হত্যার পর দুর্বৃত্তরা লাশ ঝুলিয়ে রেখে গেছে বলে পুলিশ জানায়। খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হলে আলেমরা আরো বেশী নিজেদেরকে নিরাপত্তাহীন ভাববে ।আল্লাহ যেন নিহত ইমাম সাহেবকে জান্নাতের উঁচু মাকাম দান করেন। আমিন”।
তার স্ট্যাটাসে নিহত ইমাম আব্দুর রহমানের ফেসবুক লিংক থেকে জানা যায় সেদিন কি লিখেছিলেন আব্দুর রহমান।
আলোচিত একটি স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছিলেন, হজরত শাহ জালাল রহঃ এর উত্তসূরীদের রক্তে কি জমাট বেধে গেছে?
গতকাল জুময়া’র নামাজের সময় সিলেটে নগরীর মধুশহীদ জামে মসজিদের অদূরে ইসকন মন্দিরে গান-বাজনা চলছিল। কয়েকজন মুসল্লি সরাসরি ইসকনদের কাছে গিয়ে অন্তন নামাজের সময় মাইক বন্ধ রাখার অনুরোধ করেন। উগ্র হিন্দুরা তাতে কর্ণপাত না করে গান-বাজনা চালিয়ে যায় এবং মুসল্লিদের সাথে বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন- একপর্যায়ে তারা মসজিদের দিকে ঢিল ছুড়ে। এতে মুসল্লিরা ক্ষুব্ধ হয়ে নামাজের পর প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন। সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্তলে ছুটে আসে। পুলিশের গুলিতে সাবেক মহিলা কমিশনার ও পথচারীসহ আহত হন ৫ জন। পুলিশের একমুখী ভূমিকায় ২০ জন মুসলমান আহত হন। গ্রেফতার হন আরোও ১৫ জন। অপরদিকে আহত হন শুধু একজন হিন্দু।’
উল্লেখ্য সন্ধ্যার পর গ্রেফতার হওয়া মুসল্লিদের ছেড়ে দেয়া হয়। বিষটির তদন্তের জন্য ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উগ্র হিন্দুদের ঘৃণ্য আচরণ ও পুলিশের একতরফা ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানানো আমাদের ঈমানী কর্তব্য। সমুচিত জবাব দিতে ঐক্যবদ্ধ জাগরণের বিকল্প নেই।