যে কারণে আত্মহত্যা করলো ওসমানীনগরের কিশোর নাজমুল !
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১:০৫ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
নাজমুল আলী (১৩)। দূরন্ত ছিল শৈশব। দূরন্তপনার কারণে পড়ালেখাতে মন বসতো না তার। প্রায়ই স্কুল পালাতো সে। বাবার প্রবাস জীবন আর মা’য়ের বেখেয়াল শেষপর্যন্ত নাজমুলের দুরন্তপনা নাজমুলকে নিয়ে গেলো মৃত্যুর কাছে।
বুধবার দিনের বেলা যে কিশোরটি দুরন্তপনায় মেতেছিল, ওই রাতেই সে মৃত্যুকে আলিঙ্গণ করলো। ঘরের বাথরুমের টাওয়াল স্ট্যান্ডে ঝুলে আত্মহত্যা করে নাজমুল।
নাজমুলের বাড়ি ওসমানীনগরের সাদিপুরের দক্ষিণ কালনির চর গ্রামে। বাবা ইয়াফর আলী (৫০) সৌদিতে বসবাস করছেন। নাজমুল ছিল সিলেট নগরীর স্কলার্সহোমের সাবেক শিক্ষার্থী। স্কলার্সহোমের হোস্টেলে থেকে পড়ালেখা করতো সে। মা থাকতেন বাবার বাড়ি নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জে।
স্কলার্সহোমের হোস্টেল থেকে কাপড়চোপড়-বইপত্র ফেলে প্রায় তিন মাস আগে নাজমুল চলে আসে সাদিপুরে বাড়িতে। তাকে পরিবারের স্বজনরা আবারো তাকে ভর্তি করা হয় স্থানীয় রহমতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। তারপরও তার মন বসতো না লেখাপড়াতে। নিয়মিতভাবেই স্কুল পালাতো নাজমুল।
এ কারণে তার বাবা তাকে শাসন করেছিলেন। এতেই সে অভিমান করে বুধবার রাতে সে গলায় ফাঁস দিয়ে বাড়ির বাথরুমে আত্মহত্যা করে।
পরে বাড়ির স্বজনরা বাথরুমের লক খুলে তাকে জ্ঞানহীন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এর আগেই তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ নাজমুলের মরদেহ উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় মেম্বার সোনা মিয়া গাজী মেম্বার আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পড়ালেখার জন্য নাজমুলকে শাসন করার কারণে সে বাথরুমে ফাঁস লেগে আত্মহত্যা করেছে। তার বাবা বিদেশে আছেন। আর মা বাবার বাড়িতে।
এ ব্যাপারে ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল বলেন, তিনটি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা থানা পুলিশ অনুসন্ধান করছে। তদন্ত অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।