পশুর হাট নিয়ে ওসমানীনগর-বালাগঞ্জবাসীর মধ্যে উত্তেজনা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ২:৫৫ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ :
সিলেটের ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জ উপজেলার সীমানা কাছাকাছি দুই বাজারে একই দিনে কোরবানীর পশু বিক্রির হাট বসানোকে কেন্দ্র করে দুই উপজেলাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধান না হলে দুই উপজেলাবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।
জানা যায়, ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর ইউপির শতাধিক বছরের পুরোনো খন্দকার বাজারে সপ্তাহের প্রতি সোম ও শুক্রবার পশু বিক্রিসহ অন্যান্য সামগ্রীর হাট বসে। খন্দকার বাজারের পার্শ্ববর্তী বালাগঞ্জ উপজেলার মাদরাসা বাজার সপ্তাহে প্রতি বুধ ও রোববার হাট বসে আসছিল। সম্প্রতি মাদরাসা বাজারের ইজারাদারসহ সংশ্লিষ্টরা খন্দকার বাজারের হাটবারের দিন তাদেরও হাটের বার নির্ধারণ করলে খন্দকার বাজারের পশুর হাটসহ ইজারাদারদের ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে খন্দকার বাজার ইজারাদারদের পক্ষ থেকে গত বছর জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী ভূমি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে আবেদন করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে গত বছর উভয় বাজারের সংশ্লিষ্ট মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। এবারও আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কোরবানীর পশু বিক্রি নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। খন্দকার বাজারের ইজারাদার ও ব্যবসায়ীরা তাদের হাট বারের দিন মাদরাসা বাজারের হাট বার পরিবর্তনের দাবী জানিয়ে আন্দোলন করছেন। বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী বিষয়টি সমাধানের জন্য গতকাল ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেন।
খন্দকারবাজার পশুর হাটের ইজারাদার ফারুক মিয়া বলেন, আমাদের শতাধিক বছরের পুরোনো বাজারে সপ্তাহের প্রতি সোম ও শুক্রবার হাট বসে আসছে। কিন্ত মাদ্রাসাবাজারের পক্ষ থেকে বাজারের ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করার জন্য আমাদের হাট বারে তাদের হাট বসা শুরু করেছে। বিষয়টি সমাধান না হলে এ নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত আলী বলেন, খন্দকারবাজারের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ পেয়েছি। মাদরাসাবাজার যেহেতু বালাগঞ্জ উপজেলার আওতায় সে জন্যে বিষয়টি সমাধানের জন্য বালাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেছি। তারা বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।