বালাগঞ্জে একটি রাস্তার কারণে দশ গ্রামবাসীর দূর্ভোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ৯:২৬ অপরাহ্ণ
শামীম আহমদ, বালাগঞ্জ থেকে:
সিলেটের বালাগঞ্জের আদিত্যপুর-রিফাতপুর-গহরমলী সড়কে পিচ উঠে গিয়ে বিশাল গর্ত ভাঙ্গন আর ফাঁটলের সৃষ্টি হওয়ায় জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। যাত্রীবাহী ছোট-বড় যানগুলো প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। র্দীঘ দিন যাবৎ রাস্তাটিতে ভাঙ্গন আর বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যাতায়াত ভোগান্তি পোহাচ্ছেন অন্তত দশ গ্রামের মানুষ।
চলতি বর্ষায় বৃষ্টিপাতের কারণে রাস্তাটি বেহাল অবস্থা ধারণ করেছে। তাছাড়া বন্যা কবলিত ও হাওরাঞ্চল হওয়ায় প্রতিনিয়ত এ রাস্তাটি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং জনপ্রতিনিধিদের অবহেলা আর গাফিলাতিতে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করা হচ্ছে।
সরজমিনে দেখা যায়, বালাগঞ্জ-তাজপুর সড়কের আদিত্যপুর মোড় থেকে শুরু হওয়া চার কিলোমিটার দৈর্ঘের কাচা-পাকা রাস্তাটি সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়কের সাথে গিয়ে মিলিত হয়েছে। ২০০৪সালের প্রথম দিকে রাস্তার কিছু অংশে পাকা করন কাজ করা হয়। রাস্তাটি পাকাকরনের সাথে-সাথেই ঐ বছরের স্মরন কালের ভয়াবহ বন্যায় রাস্তাটি ভেঙ্গে যায়। এর পরে কয়েক দফা বন্যায় আক্রান্ত হয় রাস্তাটি। যোগাযোগ চালু রাখার স্বার্থে গত বছর বর্ষা কালে রিফাতপুর গ্রামবাসীর উদ্যোগে রাস্তার পিচ করা অংশে ইটের কংক্রিট বিছিয়ে দেয়া হয়েছিল। অপর দিকে রিফাতপুর প্রাইমারী স্কুল থেকে দক্ষিন রিফাতপুর ভৈরব তলী পর্যন্ত অর্ধ কিলোমিটার এবং সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়ক থেকে চর সুবিয়া গ্রাম পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা বর্তমান সরকারের গত মেয়াদে দু’দফায় পাকাকরণ করা হয়। তাছাড়া রাস্তার মধ্য অংশে চরসুবিয়া গ্রাম থেকে দক্ষিণ রিফাতপুর ভৈরবতলী পীচের মুখ পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তা এখনও পাকাকরণ করা হয়নি। ফলে এই এলাকার রিফাতপুর, দক্ষিণ রিফাতপুর, চড় হাড়িয়া, চরসূবিয়া, মানন, গহরমলি, রহমতপুর, কোষারগাঁও সহ দশটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের জনদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই দেড় কিলোমিটার রাস্তায় তিন-চার বছর পর পর সামান্য মাটি ভরাটের কাজ করা হয়। কিন্তু এই এলাকাটি নিম্নাঞ্চল হওয়ায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি এবং বর্ষা মৌসুমে অধিকাংশ সময় রাস্তাটির উপর পানি উঠায় একেবারেই ক্ষেতের জমিনের সমান হয়ে যায়। বর্ষা মৌসুমে স্কুলের শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্ট করে নৌকা যোগে স্কুল-কলেজ মাদ্রাসায় যেতে হয়। আবার নৌকা না থাকায় অনেকে স্কুলে যেতে পারেন না। ফলে বর্ষা মৌসুমে এই এলাকার অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পক্ষে স্কুলে গিয়ে ক্লাস করার সুযোগ হয়ে উঠেনা।
চার কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে পাকা অংশ দ্রুত সংস্কার ও অসম্পূর্ণ দেড় কিলোমিটার পাকাকরণ করার দাবী জানিয়ে স্থানীয় লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চার কিলোমিটার দৈর্ঘের রাস্তায় দেড় কিলোমিটার পাকা না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমসহ সারা বছরই আমাদের চলাচলের খুবই সমস্যা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বালাগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ভাঙ্গন কবলিত রাস্তার সংস্কার এবং অসম্পূর্ণ অংশ পাকাকরণের প্রকল্পটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।