রং ফর্সাকারী ক্রিম, নিরাপদ তো?
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ আগস্ট ২০১৬, ৮:২০ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ
ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম বা হোয়াইটেনিং ক্রিম অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন। তবে এসব ত্বকের জন্য ক্রিম ভালো না খারাপ— এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মো. রোকন উদ্দিন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের চর্ম ও যৌন বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : আমরা বিভিন্ন হোয়াইটেনিং ক্রিমের বিজ্ঞাপন দেখে থাকি বা ব্যবহার করতে দেখে থাকি। এই ক্রিমগুলো কি তাহলে ব্রণ হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে?
উত্তর : হোয়াইটেনিং ক্রিম যেগুলো ব্র্যান্ড নয় বা খুব ভালো কোম্পানির নয়, এমনি দোকানে পাওয়া যাচ্ছে—সেগুলোর অধিকাংশের মধ্যে স্টেরয়েড থাকে। স্টেরয়েড তাৎক্ষণিক হাইপোপিগমেন্টেশন বা রংকে একটু হালকা করে দেয়। এতে দেখা যায়, যে ব্যবহার করে প্রথমদিকে সাত দিনের মধ্যে নাটকীয় একটি ফল আছে। এতে সে উৎসাহিত হচ্ছে। এই উৎসাহ শেষ পর্যন্ত তার চামড়াকে খারাপ দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এতে শেষ পর্যন্ত ব্রণ হচ্ছে, দাগ পড়ে যাচ্ছে, ব্রণের বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে পরে আসছে।
প্রশ্ন : তাহলে এ ধরনের হোয়াইটেনিং ক্রিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাদের কী কী বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে?
উত্তর : দেখুন, আমাদের শরীরের যে অংশগুলো ঢাকা থাকে, সেখানে কি আমরা কোনো কিছু ব্যবহার করি? না। ভালোই তো থাকে! কিন্তু যে অংশটি সবচেয়ে ভালো থাকার কথা, মুখমণ্ডল—সেটি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। কেন? কারণ, এর ওপর বিভিন্ন অত্যাচার আমরা করছি। সূর্যের আলো লাগাচ্ছি। বিভিন্ন জিনিস লাগাচ্ছি। যদি সঠিক জিনিস লাগাতে পারতাম, অবশ্যই চামড়া নষ্ট হতো না। ঢাকা অংশের মতোই থাকত। আবার যে অংশগুলো খোলা—হাত, পা, মুখ এগুলো কিন্তু সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর কারণ বিভিন্ন অত্যাচার আমি করছি। এটা বন্ধ করার জন্য বড় উপায় হলো চিকিৎসকে