শ্রীমঙ্গলে কম্পিউটার ব্যবসার আড়ালে অশ্লীল পর্নোগ্রাফি !
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ আগস্ট ২০১৬, ৪:২৯ অপরাহ্ণ
তোফায়েল আহমেদ পাপ্পু, শ্রীমঙ্গল থেকে:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে কম্পিউটার ব্যবসার আড়ালে অশ্লীল ভিডিও পর্নোগ্রাফি ব্যবসা জমজমাট ভাবে চলছে। তরুণ-তরুণী ও উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েদের মোবাইলে বিস্তার লাভ করেছে অশ্লীল পর্নোগ্রাফি। বর্তমানে প্রায় সারা দেশেই দেখা দিয়েছে অশ্লীলতার বন্যা। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ নানা ভাবে জড়িয়ে পড়ছে অশ্লীলতার সাথে।
এক শ্রেণীর নর-নারীর অশ্লীলতা ভিডিওতে ধারণ করে পর্নো সিডি তৈরি করে ছড়িয়ে দিচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকার কম্পিউটার দোকানগুলোতে। এসব সিডি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। এই ধরনের অনৈতিক ও অসামাজিক কাজের সাথে বিভিন্ন ভাবে জড়িত থেকে অনেকে অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে প্রচুর অর্থ। মাঝে মধ্যে এসবের বিরুদ্ধে আইন-শৃংখলা বাহিনীর অভিযান পরিচালিত হলেও অবস্থার উন্নতি তো নেই বরং পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। এর চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে যুবসমাজের উপর। এ থেকে বাদ পড়ছে না উঠতি বয়সী তরুণ ও শিশুরা।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে অবস্থিত দোকান গুলোতে অতীতে মোবাইলে আপলোড বা সিডি বিক্রি হতো একটু গোপন বা আড়ালে-আবডালে। কিন্তু বর্তমানে এগুলো বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্যে। পর্নো ভিডিওর বেশির ভাগ ক্রেতা এক শ্রেণীর উঠতি বয়সীরা। অনেকে স্কুল-কলেজের যাতায়াত এবং টিফিনের টাকা জমিয়ে এসব কিনে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে দেখে এবং বাজে মন্তব্য করে বিশেষ করে অভিভাবকরা যখন বাড়ির বাইরে থাকেন কিংবা অন্য কাজে ব্যস্ত থাকেন তখনই তারা ক্রমেই খারাপ চরিত্রের অধিকারী হয়। ধনী পরিবারের ছেলে মেয়েরা বেশি দাম দিয়ে এগুলোর মাষ্টার পিস বা ভালো মানেরটা কিনে। নতুন কোন পর্নো বাজারে বের হলে এর দাম অনেক বেশি থাকে এবং চাহিদাও থাকে অনেক বেশি। অনেক সময় একেকটা পর্নোগ্রাফি ছবি বিক্রি হয় কয়েক মত টাকায়। আবার কোন কোন ভিডিও বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। এসব ভিডিও তারা তাদের মোবাইলে ডাউনলোড করে খেলার মাঠে, যানবাহন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি স্থানেও তারা এসব দৃশ্য উপভোগ করে। এসব পর্নোগ্রাফি ভিডিও খুবই সহজ লভ্য। অনেক স্থানে এমনকি ফুটপাতের দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে দেদারছে।
এসব নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃংখলা বাহিনীর জোরালো ভুমিকা লক্ষ্য করা যায় না। অনেক সময় শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ এসব অবৈধ্য ব্যবসায়ীদের ধরলেও কিছু দিন পর বেশ সহজেই ছাড়া পেয়ে যায় তারা। তারপর তার আরো বেশি করে এ ব্যবসায় নামে। পর্নোগ্রাফি এসব ভিডিও বিক্রেতার কারণে একদিকে যেমন সমাজে অসামাজিক কার্যকলাপ, ইভটিজিং, পরকীয়াসহ সামাজিক অবক্ষয় বৃদ্ধি পাচ্ছে অপর দিকে তেমনি যুব সমাজ ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে। এ বিষয়ে সচেতন মহল মনেকরছেন সামাজিক সচেতনতা অত্যন্ত জরুরী এবং অতিদ্রুত আইন প্রয়োগকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কঠোর হস্তক্ষেপ না নিলে সমাজে মূল্যবোধ ও নৈতিকতার চরম অবক্ষয় দেখা দেবে এমন আশঙ্কা সচেতন মহলের।