ফ্রান্স থেকে এবার বৃটেনমুখী বাংলাদেশীসহ এশিয়ান অভিবাসীরা
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ আগস্ট ২০১৬, ১:৪৪ পূর্বাহ্ণ

লন্ডন অফিস :
এবার ফ্রান্স থেকে বৃটেনমুখী হচ্ছেন অভিবাসীরা। এদের মধ্য অধিকাংশই বাংলাদেশীসহ এশিয়ানরা। কিছুদিন পুর্বেও বৃটেনে বসবাসরত অভিবাসীদের প্রধান টার্গেট ছিল ফ্রান্স। ইউরোপের অর্থনৈতিক মন্দার ভেতরে ফ্রান্সে এসাইলামসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বেশি থাকায় লন্ডনে স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট, ও ভিসিট ভিসায় আসা অভিবাসিরা ফ্রান্সের দিকে ঝুঁকছিলেন। ফলে গত কয়েক বছরে ফ্রান্সে বাংলাদেশী এসাইলাম প্রার্থীর সংখ্যাও অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছিল ।
২০০৯ সালের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী মোট বাংলাদেশী এসইলাম সীকারদের মধ্যে সর্বোচ্চ শতকরা ৩০ ভাগ অবেদন করেছেন ফ্রান্সে। এবার দৃশ্যপট ভিন্ন গত কয়েক মাসের ভিতরে ফ্রান্সে কয়েকটি জঙ্গি হামলার পর এখন ফ্রান্সে টিকে থাকাই মুশকিল হয়ে পরেছে। আর বিশেষ করে মুসলিম বা এশিয়ানদের। ফ্রান্স থেকে এবার তারা পালিয়ে এবার তারা বৃটেনমুখী হচ্ছেন।
ফ্রান্সে ব্রিটেনের সীমান্তবর্তী ক্যালিসের অভিবাসীদের বৃটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সুযোগ দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান কর্মকর্তা জেভিয়ার ।
তিনি বলেন, বৃটেনে পৌছাতে ফ্রান্সের ক্যালিসের জঙ্গলের আশ্রয় শিবিরে বসবাসকারী লোকদের আবেদনের সুযোগ দেয়া উচিত। এদিকে ব্রিটেনের কর্মকর্তারা বর্তমানে ফ্রান্স থেকে অনুপ্রবেশকারীদের আটকাতে পাসপোর্ট চেক করছেন। তারা বলছেন প্রথমে দেশের নিরাপত্তা এর পর কাউকে আশ্রয় দেয়া উচিত।
জভিয়ার তার পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, যদি কেউ ব্রিটেনে আবেদন করে এবং প্রত্যাখান হয় তারপর তাকে তার দেশে সরাসরি পাঠানো হবে। এদিকে ফ্রান্সের ক্যালিসের জঙ্গলে প্রায় ৯ হাজার অভিবাসী আশ্রয় নিয়েছেন। তারা প্রতি রাতে ফ্রান্স থেকে ব্রিটেনগামী লরির নিচে লুকিয়ে আসার চেষ্টা করেন।জাভিয়ার আশা করছেন দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে অভিবাসী সমস্যার সমাধানে সহায়তা হতে পারে।
জভিয়ার তার পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, যদি কেউ ব্রিটেনে আবেদন করে এবং প্রত্যাখান হয় তারপর তাকে তার দেশে সরাসরি পাঠানো হবে। এদিকে ফ্রান্সের ক্যালিসের জঙ্গলে প্রায় ৯ হাজার অভিবাসী আশ্রয় নিয়েছেন। তারা প্রতি রাতে ফ্রান্স থেকে ব্রিটেনগামী লরির নিচে লুকিয়ে আসার চেষ্টা করেন।জাভিয়ার আশা করছেন দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে অভিবাসী সমস্যার সমাধানে সহায়তা হতে পারে।
ফ্রান্সের সাথে চুক্তি অনুযায়ী ব্রিটিশ ইমিগ্রেমন কর্মকর্তারা কেলিস এবং ফ্রান্সের কিছু অংশের পাসপোর্ট এবং যানবাহন চেক করতে পারবেন। অনুসন্ধান শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের বৃটেণে প্রবেশ করতে পারবে না।ব্রিটিশ সরকার বলছে ফ্রান্সের সাথে তাদের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। তারা কেলিসের বিষয়টি নিয়ে যৌথভাবে কাজ করছেন। এদিকে ইইউ রেফারেন্ডামের আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামরন এক প্রচারনায় বলেছিলেন ইইউ ত্যাগ করলে ফ্রান্সের ক্যালিস থেকে অভিবাসীদের ইংল্যান্ডে সরাতে হতে পারে। এর কয়েক সাপ্তাহ পরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট পারস্পরিক অঙ্গীকারের ভিত্তিতে তা একটি জায়গায় রাখতে সম্মত হয়েছেন।